সকালের দিকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে হইচই পরে গিয়েছিল। তামিম ইকবালের দাদা নাফিস ইকবাল করোনায় ধরা পড়েন। দুপুর গড়াতেই আরো একটি ঢেউ আছড়ে পড়ল পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটে। করোনা আক্রান্তের নামের তালিকায় এবার স্বয়ং মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ক্রিকেট আইকন মাশরাফি বিন মুর্তজা করোনা আক্রান্ত হতেই আশংকিত ক্রিকেট মহল।
ক্রিকেটার সরাসরি কিছু জানাননি। তবে তারকা ক্রিকেটারের পরিবারের সূত্রে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে এই সংক্রমণের খবর। শনিবারে মাশরাফির নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে, তিনি সংক্রমিত। ঢাকায় নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
স্পোর্টস্টার কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফির ছোট ভাই মুর্শলিন মুর্তজা জানিয়েছেন, "শেষ কয়েকদিন শরীর মোটেই ভালো ছিল না ওর। তাই নমুনা পরীক্ষা করতে দেয়। সেই ফলাফল পজিটিভ এসেছে। মাশরাফি এখন বাড়িতে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছে।"
বাংলাদেশের একাধিক মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, মাশরাফির পরিবারের বেশ কয়েকজন কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন আগে।
এই নিয়ে মোট তিনজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলেন। এদিনই আক্রান্তের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন তামিম ইকবালের দাদা নাফিস ইকবাল। যিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন ওপেনার ছিলেন।
ডেইলি স্টার সংবাদপত্রে নাফিস ইকবাল নিজেই জানিয়েছেন, মারণ ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন তিনি। আপাতত চট্টগ্রামে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের ডান হাতের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন নাফিস ইকবাল। ২০০৩ সালে অভিষেক ঘটে তাঁর। তবে ২০০৬ এর পর জাতীয় দলে আর জায়গা পাননি। বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৪ বছরের এই তারকা ক্রিকেটার ১১টি টেস্ট এবং ১৬টি ওডিআই খেলেছেন। রানসংখ্যা যথাক্রমে ৫১৮ ও ৩০৯।
গতমাসে বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট কোচ তথা প্রাক্তন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার আশিকুর রহমান করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন।
ক্রিকেট বিশ্বে করোনার হানা এবারই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি করোনার শিকার হন। আফ্রিদির আগে পাক ক্রিকেটে একইভাবে সংক্রমিত হন জাফর সরফরাজ এবং তৌফিক উমর। বাড়িতে দুজনই কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটানোর পর সুস্থ হয়ে গিয়েছেন আগেই। গত মাসে আক্রান্ত হন তৌফিক উমর। ১৪ দিন পর পুনরায় পরীক্ষায় অবশ্য রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। স্কটল্যান্ডের হক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার সলো এনকোয়ি করোনার হানার মুখে পড়েছিলেন।