তিনি নিজে প্রতিষ্ঠিত। এক অর্থে বিশ্ব ক্রিকেটে সঞ্চালনার অন্যতম মুখই তিনি। সঞ্চালিকা হিসেবে খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে তাঁকেই দেখা যায়। ক্রিকেটে সঞ্চালনার আগে ফুটবল শো-য়েও অ্যাঙ্করিং করেছেন তিনি। মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ক্রিকেট সমাজের পরিচিত মুখ হলেও অন্য এক পরিচিতিও তাঁর রয়েছে।
তিনি ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনি-র স্ত্রী-ও। এই কারণে প্রায়ই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়েরও মুখোমুখি হতে হয়। ক্রিকেটার হিসেবে সেরকমভাবে প্রতিষ্ঠিত না হতে পারা স্টুয়ার্ট বিনিকে নিয়েই খোঁচা দেন নেটিজেনরা। লক্ষ্যবস্তু একটাই- মায়ান্তি নিজে সফল হলেও স্টুয়ার্ট বিনি ক্রিকেট কেরিয়ারে একদমই ব্য়র্থ। ২০১২ সালে ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনিকে বিয়ে করেন মায়ান্তি। স্টুয়ার্টের বাবা রজার বিনি ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও বাবার মতো সাফল্য পাননি স্টুয়ার্ট।
যাইহোক, এই বিনিকে নিয়েই ফের একবার ট্রোল করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন ট্রোলিংয়ের আগেও মুখোমুখি হয়েছেন মায়ান্তি। সম্প্রতি আরও একবার হলেন। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পালটা দিয়েছেন তিনিও।
চলতি মাসের ৪ তারিখের ঘটনা। নিজের অনুষ্ঠানের আগে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেমন মায়ান্তি। সেই ছবিতে মায়ান্তির ক্যাপশন ছিল, "আমাদের স্টুডিও জীবনটা বেশ ঝলমলে।" এরপরেই বিপত্তি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এসে সরাসরি কমেন্টে লিখে দিয়েছিলেন, "স্টুয়ার্ট বিনি ইদানীং কী করে?’ অন্য একজন এসে জবাব দেন, ‘মায়ান্তির ব্যাগ বহন করতে সাহায্য করে।" বার্তা পরিষ্কার, স্ত্রী-র সাফল্যই এখন একমাত্র অবলম্বন জাতীয় দলে ব্যর্থ স্টুয়ার্টের।
তবে মায়ান্তি তাঁকে ছাড়েননি। মুখের মতো জবাব মায়ান্তির, "ধন্যবাদ, কিন্তু আমি নিজের ব্যাগ নিজেই বইতে পারি। স্টুয়ার্ট নিজের মতো জীবনে খেলছে। সব মিলিয়ে ভালই রয়েছে। অন্তত যাঁদের চেনে না তাঁদের বিষয়ে ভুলভাল মন্তব্য করছে না।"
স্টুয়ার্ট বিনি মাত্র ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। কেরিয়ারের সেরা সময় এসেছিল ২০১৪-এ। ভারত প্রথমে ১০৪ রানে অলআউট হয়ে গেলেও বাংলাদেশকে একাই ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এই তারকা। ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে একাই ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
https://t.me/iebangla