২০২৫ আইপিএল (IPL) টুর্নামেন্টে যে ম্য়াচের জন্য গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ সন্ধ্যাবেলা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই ম্য়াচ আয়োজন করা হবে। পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) খেলতে নামবে গতবারের বিজয়ী দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বিরুদ্ধে। প্রথম ম্য়াচে হারের পর রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা একেবারে প্রত্যাশা অনুসারে হয়নি। প্রথম দুটো ম্য়াচে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে সেই লড়াকু মেজাজটা এখনও পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। এটা তাদের থেকে একেবারে প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি দলের বোলাররাও আহামরি পারফরম্য়ান্স করতে পারেনি।
কেমন হতে পারে ওয়াংখেড়ের উইকেট?
কেকেআর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে (Wankhede Stadium) আয়োজন করা হবে। ওয়াংখেড়ের উইকেট বরাবরই ব্যাটারদের কাছে স্বর্গোদ্যান হয়ে থাকে। এই মাঠে চার-ছক্কার বন্যা দেখা যায়। সঙ্গে দেখা যায় রানের সুনামিও। এই উইকেটে যথেষ্ট বাউন্সার থাকার কারণে বল খুব সহজেই ব্য়াটে আসে। আউটফিল্ড দ্রুত হওয়ার কারণে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে ব্য়াটারদের খুব একটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় না। অর্থাৎ, কলকাতা বনাম মুম্বইয়ের মধ্যে একটা হাই-স্কোরিং ম্য়াচ দেখা যেতে পারে।
কী বলছে পরিসংখ্যান?
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত আইপিএল টুর্নামেন্টে মোট ১১৮ ম্য়াচ খেলা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪ ম্য়াচে যে দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছে, তারাই জয়লাভ করেছে। আর রান তাড়া করতে নেমে জয় এসেছে ৬৪ ম্য়াচে। অর্থাৎ, সোমবার (৩১ মার্চ) যে দল টসে জিতবে, তারা প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এই মাঠে সর্বাধিক স্কোর (২৩৫) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০১৫ সালে তুলেছিল। অন্যদিকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কেকেআর মাত্র ৬৭ রানেই এই মাঠে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। এটাই আইপিএল ইতিহাসে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সর্বনিম্ন স্কোর।