ফ-য়ে ফুটবল, আবার ফ-য়ে ফুড! ফুটবলের শ্রেষ্ঠ ইভেন্টে বল গড়াতে বাকি আর পাঁচ দিন। তারপরেই রাশিয়ায় রণক্ষেত্র। আর এই বিশ্বকাপে রসনাতৃপ্তির সঙ্গেই মেসি-রোনাল্ডোর চোখ ধাঁধানো স্কিল মিলে যাচ্ছে শহরের এক ক্যাফের হাত ধরে!
খোদ কলকাতায় বসেই পাবেন রাশিয়ার স্বাদ। ড্রিবল-ডজের হাতে-হাত রেখে বিলিনি-পেলেমিনির মতো ট্র্যাডিশনাল রাশিয়ান ডেলিকেসিরা লিখবে নতুন উপাখ্যান। সাক্ষী থাকবে সিটি অফ জয়।
এ শহরে এক টুকরো রাশিয়া বলতে মাথায় আসে গোর্কি সদন। ভারত-রাশিয়ার শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গমস্থল মিন্টো পার্কের এই রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার। গোর্কি সদনের মধ্যেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে মিলি দ্রুগ ক্যাফে অ্যান্ড বিস্ত্রো। জনপ্রিয় এক ‘রেস্টুরেন্ট সার্চ অ্যান্ড ডিসকভারি সার্ভিস’ অ্যাপের বিচারে তাই ‘হিডেন জেম’ ক্য়াটাগরিতেই তাকে রাখা হয়েছে। রেটিংয়েও পাঁচের মধ্যে চার। দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ান খাবার পরিবেশেন করে ফুড লাভার্সদের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে মিলি দ্রুগ। কোয়াস আর বিলিনির যুগলবন্দিতে অনেকদিন আগেই খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে তারা। এবার মিশন বিশ্বকাপ। আলাদা প্রস্তুতি। অন্যরকম কিছুর প্রয়াস।
Milee Droog Cafe & Bistro is getting ready for FIFA World Cup 2018. Express photo: Shashi Ghosh
মিলি দ্রুগের ইনচার্জ অতনু সাহা জানালেন যে, বয়স নির্বিশেষে রাশিয়ান ফুড নিয়ে এই শহরের একটা আলাদা আগ্রহ রয়েছেই।তাঁর কথায়, "কলকাতায় সেভাবে রাশিয়ান খাবার পাওয়া মুশকিল। সেদিক থেকে মিলি দ্রুগ রাশিয়ান ফুডে নিজেদের আলাদা একটা পরিচয় করে নিয়েছে।" বিশ্বকাপের পরিকল্পনাও শেয়ার করেছেন অতনু। বলছেন, "আরও চার-পাঁচ রকমের বিলিনি, পেলেমিনি ও গালোবসি থাকছেই। সেগুলোতে থাকবে অভিনবত্ব। ইন্দো-রুশ ফিউশনই সার্ভ করব আমরা। যারা এখানে আসবেন তাঁরা বিশ্বকাপের ম্যাচও দেখতে পাবেন। ইচ্ছা আছে প্রজেক্টর লাগিয়ে বড় পর্দায় ম্যাচ দেখানোর।"
Milee Droog Cafe & Bistro is getting ready for FIFA World Cup 2018. Express photo: Shashi Ghosh
শুধু রাশিয়ানই নয়, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের খাবারের স্বাদও চেখে দেখা যায় এখানে। বিলিনি আর পেলেমিনি ছাড়াও থাকছে লাহাম উইথ ল্যাম্ব টপড হামাস। গরমের মরশুমের কথা মাথায় রেখে ম্যাঙ্গো বিলিনিও রেখেছে এই ক্যাফে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের! রাশিয়ায় খেলা দেখতে না-পারার আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেবে খোদ শহরের এক ক্যাফেই।