/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/virat-1.jpg)
মিচেল জনসন এবং বিরাট কোহলি, ফাইল ছবি
ক্রিকেট মাঠে বিরাট কোহলি এবং মিচেল জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহুদিনের, তবে তার মূলে রয়েছে ২০১৪ সালের অ্যাডিলেইড টেস্ট, যখন জনসনের ছোড়া বল সোজা গিয়ে লাগে বিরাটের গায়ে। প্রাক্তন এই অজি পেসার বরাবর বলে এসেছেন, তিনি নিতান্তই বৈধভাবে বিরাটকে রান আউট করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ভারতের অধিনায়ক খুব সহজভাবে নেন নি ঘটনাটা।
বস্তুত, ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরাট পরে জানান, জনসনকে সম্মান করেন না তিনি, যা শুনে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন নি জনসন।
কিন্তু এবার এই চলমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা রসিকতা মেশালেন ৩৮ বছর বয়সী জনসন। সদ্য সমাপ্ত ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে কোহলির এক বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন প্রাক্তন অজি পেসার।
আরও পড়ুন: প্রিয় বিরাট, মনে রাখুন, আগ্রাসন মানে অসভ্যতা নয়
স্লিপ কর্ডনে ফিল্ডিং করার সময় স্টাম্প মাইক্রোফোনে বিরাটকে বলতে শোনা যায়, "জব ইন্ডিয়া মে আয়েঙ্গে, তব দিখা দুঙ্গা (এরা ভারতে আসুক, দেখে নেব)।"
ক্রাইস্টচার্চের এই টেস্ট বিশ্রীভাবে হেরে যায় ভারত, যার পর তাঁর ইন্সটাগ্রাম পেজে কোহলির মন্তব্যের স্ক্রিনশট দিয়ে জনসন লেখেন, "এটা দেখে হাসি পেল।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/virat1.jpg)
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই টেস্টের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টও হেরে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার মেজাজ হারান ভারতের অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর বিরাটের উল্লাস প্রকাশের ভঙ্গী নিয়ে প্রশ্ন করেন ওই সাংবাদিক। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সাত উইকেটে ম্যাচ হারার পর মাঠে বিরাটের তথাকথিত অশ্লীল ভাষার ব্যবহার সংক্রান্ত ওই কিউয়ি সাংবাদিকের প্রশ্ন একেবারেই হজম হয় নি ক্যাপ্টেনের।
প্রশ্ন যা ছিল, তার মর্মার্থ এই: “বিরাট, মাঠে আপনার আচরণ সম্পর্কে কী বলবেন? উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর তাঁকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষা, দর্শকদের উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষা। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে আপনার কি উচিত নয় মাঠে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা?”
বিরাটের জবাব, “আপনার কী মনে হয়?”
“প্রশ্নটা তো আমি করেছি।”
এবার স্পষ্টতই বিরক্ত বিরাটের জবাব, “আমি আপনার কাছে উত্তর চাইছি। আপনি উত্তর খুঁজে বের করুন, আর প্রশ্নটাও আরেকটু ভালো করে করুন। অর্ধেক প্রশ্ন এবং ঘটনা সম্পর্কে অর্ধেক জ্ঞান নিয়ে এখানে আসতে পারেন না আপনি। তাছাড়া, যদি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চান, তার জায়গা এটা নয়। আমি ম্যাচ রেফারির (রঞ্জন মদুগাল্লে) সঙ্গে কথা বলেছি, যা হয়েছে তা নিয়ে ওঁর কোনও বক্তব্য নেই।”