মহিলাদের বিশ্ব ক্রিকেটে আইকন ছিলেন। দেশকে বহু গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। সেই মিতালি রাজ সমস্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন। ১৯৯৯ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর বিদায়ে শোকের ছায়া ক্রিকেট মহলে।
দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিন ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই দীর্ঘ কেরিয়ারেই বুধবার পর্দা ফেলে দিলেন। চলতি বছরের মার্চে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে মিতালি শেষবার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যদিও সেমি ফাইনালে তুলতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেন কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। ৬৮ করেও দলকে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দিতে পারেননি।
মিতালির নেতৃত্বে মহিলা ক্রিকেট দল বহু গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ২০১৭-য় মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনো। লর্ডসে ভারত ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অভিষেকের আগেই উমরানের গতিতে চূর্ণ শোয়েবের রেকর্ড! ১৬৩.৩ কিমিতে ঝড় স্পিডস্টারের
নিজের অবসর বার্তায় মিতালি জানিয়ে দিলেন, বর্তমানে যোগ্য ক্রিকেটারদের হাতেই রয়েছে মহিলা ক্রিকেট দল। তাই এখনই সরে দাঁড়ানোর পক্ষে আদর্শ। অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসেবে বোর্ডের যে সমর্থন পেয়েছেন মিতালি, সেইজন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারকা।
ওয়ানডেতে মহিলা ক্রিকেট দলের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রান স্কোরার। ২৩২ ম্যাচে মিতালির দখলে রয়েছে ৭৮০৫ রান। ৫০.৬৪ গড়ে সাত সেঞ্চুরি এবং ৬৪ অর্ধ শতরান হাঁকিয়েছেন। ১২ টেস্টে মিতালির নামের পাশে ৬৯৯ রান। ৮৯ টি২০-তে মিতালি করেছেন ২৩৬৪ রান। রানের পাহাড় গড়ার নিরিখে মিতালির সঙ্গে বারবারই তুলনায় উঠে এসেছেন শচীন।
২০০৪ সালে জাতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন মিতালি। তারপর থেকে সবথেকে বেশিবার মিতালি মহিলা দলের ক্যাপ্টেন হয়েছেন। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে ১৫৫ ম্যাচে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে মিতালি জয় পেয়েছেন ৮৯টি। সবথেকে বেশিবার ক্যাপ্টেন হওয়ার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শার্লট এডওয়ার্ডসের। তিনি সবমিলিয়ে মোট ১১৭ টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্ক ১০১ টি ম্যাচে অধিনায়ক হয়েছেন।