Moeen Ali: ২০২৫ আইপিএল (IPL 2025) টুর্নামেন্ট চলাকালীন এক তারকা ক্রিকেটার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন তাঁর বাবা-মা নাকি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন। এই ক্রিকেটার আর কেউ নন, বরং ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার মঈন আলি। মঈন আলি একজন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ক্রিকেটার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, অপারেশন সিন্দুর শুরু হওয়ার সময় তাঁর বাবা-মা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেই ছিলেন।
মঈন আলির বিস্ফোরক মন্তব্য
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মঈন আলি। সেখানে তিনি বলেন, 'আমার বাবা-মা ওই সময় কাশ্মীরেই (PoK) ছিলেন। যেখানে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখান থেকে খুব বেশি হলে এক ঘণ্টার দুরত্বে। তারপর সেদিনই ওখান থেকে একমাত্র ফ্লাইট ধরে কোনওক্রমে প্রাণরক্ষা করেন। ওঁরা যে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, তাতেই আমি খুশি। কিন্তু, এটা একপ্রকার পাগলামি ছিল।' আইপিএল টুর্নামেন্ট যখন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়, সেইসময় মঈন আলি নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।
সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গি হয়ে যাক! মঈন আলিকে বিস্ফোরক আক্রমণ তসলিমার
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে দিলেন প্রতিক্রিয়া
মঈন আলি বললেন, 'এটা এককথায় পাগলামি ছিল। সত্যি কথা বলতে কী, কাশ্মীরে (PoK) হামলা চালানো হয়েছিল। চোখের নিমেষেই গোটা বিষয়টা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। আর আমরা এই ঘটনার মধ্যে ফেঁসে গিয়েছিলাম।' পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্য়াচ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ ক্রিকেটার নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। গত ৮ মে ধরমশালায় এই ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু, ব্ল্যাক আউটের কারণে আচমকা এই ম্য়াচটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে ব্রেক নিলেন মঈন আলি
'মনে হচ্ছিল, কোনও যুদ্ধের মধ্য়ে রয়েছি'
সঙ্গে মঈন আলি আরও যোগ করেন, 'মনে হচ্ছিল যে আমরা যেন কোনও যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। তবে একথাও ঠিক যে আমরা মিসাইল হামলার ব্যাপারে কিছুই শুনিনি। আচমকাই একটা দেশ ছাড়ার জন্য আপনি ছটফট করতে শুরু করেন। সেইসময় একটাই কথা মনে হয় যে আপনার পরিবার নিরাপদে রয়েছে কি না। বাড়িতে সবাই আমার জন্য চিন্তা-ভাবনা করে। আর আপনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।'
৬০ বলে ১২১, একাই দলকে সেমিতে তুললেন মঈন আলি
'কেউ সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারছিল না'
শেষকালে মঈন আলি আরও বললেন, 'কী যে হচ্ছে, সেটাই কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছিল না। আমি অনেকের সঙ্গেই এই ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। কেউ কেউ বলেছিলেন, যুদ্ধ হবে না। খুব শীঘ্রই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কেউ কেউ আবার যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন। তবে আমরা যে ব্যাপারটা নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তিত ছিলাম, তা হল বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারণ দেশের বাইরে আমরা বেরোতে পারছিলাম না।'