করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বর্তমান ক্রিকেট সূচি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। তাই সমস্ত ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের বোর্ডের উচিত একসঙ্গে বসে সূচি নতুন করে বানানো। এমনটাই মনে করছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
বর্তমানে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি আজহার বলছেন, এফটিপির (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) সূচিতেও পরিবর্তন এনে আইপিএলকে জায়গা করে দিতে হবে। নাহলে সমস্যায় পড়বে দেশি, বিদেশি ক্রিকেটাররা।
পিটিআইকে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে ৫৭ বছরের ক্রিকেট তারকা জানিয়েছেন, "বর্তমানে এত অনিশ্চয়তার কারণে নতুন করে আগামী দু বছরের জন্য ক্রিকেট সূচি বানানো উচিত। ভাল সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। তবে খারাপ সময়ে তা করা যায় না।"
এর পরে তাঁর সংযোজন, "পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে বাকি দেশগুলির সংগে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।"
২৯ মার্চ আইপিএল আয়োজনের কথা থাকলেও লকডাউনের জন্য তা ১৫ এপ্রিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই বিসিসিআই তরফে একাধিক অপশন খোলা রাখা হচ্ছিল আইপিএল আয়োজনের জন্য। কিন্তু ১৫ এপ্রিলের পরে আরও একপ্রস্থ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একাধিক রাজ্যের পক্ষ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই বোর্ডের সামনে।
আইপিএলের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আজহারের বক্তব্য, "যদি আইপিএলের জন্য স্লট থাকে তাহলে বাকি সবকিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে। এটা একটা অপশন। নাহলে বর্তমান পরিস্থিতির সূচি ধরেই এগোতে হবে যাইহোক।"
তবে আর্থিক ক্ষতির কারণেই আইপিএল আয়োজনে জোর দিতে বলছেন তিনি, "আইপিএল না হলে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদেরই ক্ষতি। এটা মোটেই বাস্তবসম্মত হবে না। তাই পুরো সূচি বদলানোর কথা বলছি। প্রত্যেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই সব ক্রিকেট বোর্ডই এতে রাজি হয়ে যাবে। তবে আইপিএল না হলে বিসিসিআইয়ের অনেক ক্ষতি হবে।"
জোস বাটলার, প্যাট কামিন্স এর মত তারকারা আইপিএল খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আজহারউদ্দিনও বলছেন, "কেউই আইপিএলে না বলবে না। বিদেশিরা তো নয়ই। কত ক্রিকেটার আইপিএলের প্রতীক্ষায় থাকে। অনেক ঘরোয়া ক্রিকেটার যারা জাতীয় দলে নিয়মিত নয় তাঁরাও আইপিএলের দিকে তাকিয়ে থাকে।"
আইপিএলের পাশাপাশি বিশ্বকাপ টি টোয়েন্টি ক্রিকেটও আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করছেন আজহার। তিনি জানাচ্ছেন, "মনে হয় না, বিশ্বকাপ টি টোয়েন্টির সূচিতে কোনো প্রভাব পড়বে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্বকাপ। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয়ে যায় সেই সময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। কোনোভাবেই বিশ্বকাপের সূচি বদলানো উচিত নয়। তবে এর মধ্যেই আইপিএলের সূচি ঢুকিয়ে দিতে হবে।"