দীর্ঘ চোট-আঘাতে ভুগছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। এমনকী, যে ২০২৩ বিশ্বকাপে তিনি আগুন ঝরানো বোলিং করেছেন, সেখানেও তাঁকে শারীরিক যন্ত্রণা কমাতে ইনজেকশন নিতে হয়েছে। শামি, ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শামির অনবদ্য পারফরম্যান্স সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণে ভারতকে সহায়তা করতে পারে। বিশেষ করে, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ সব সময় পেসার সহায়ক। সেখানে শামি ভেলকি দেখাতে পারেন বলেই আশা টিম ইন্ডিয়ার। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠল, শামি কি আদৌ সুস্থ? রিপোর্ট বলছে, তাঁকে চোট কমাতে বিশ্বকাপেও ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট-এ ভারতীয় দল প্রতিটা মুহূর্তে মহম্মদ শামির অনুপস্থিতি প্রবলভাবে উপলব্ধি করেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেসাররা ব্যর্থ হয়েছেন। আর, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা বড়সড় রান করেছেন। মহম্মদ সিরাজ থেকে প্রসিধ কৃষ্ণা, শার্দুল ঠাকুররা প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জসপ্রিত বুমরাহকেও নিজস্ব ফর্মে পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আগুন ঝরানো বোলিং করা মহম্মদ শামির উপস্থিতি টিম ইন্ডিয়ার কাছে জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে, ইনজুরির কারণে শামি প্রথম টেস্ট দলে সুযোগ পাননি। এনিয়ে যখন জল্পনা তীব্র, সেই সময়ই বোমা ফাটিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তারা 'প্রসিধের পারফরম্যান্স খালি বেঞ্চ ভরানোর কাজে দিয়েছে' শিরোনামে লেখা এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে শামি চোট নিয়েই এবারে বিশ্বকাপ খেলেছেন।
আরও পড়ুন- বিদেশে কলঙ্কের দাগ কোচ রাহুলের CV-তে! সেরার সেরা টেস্ট কিংবদন্তির কোচিং রেকর্ডই লজ্জার
বাংলা দলে শামির প্রাক্তন সতীর্থ নাম প্রকাশ না-করার শর্তে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'শামির বাম গোড়ালির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা আছে। অনেকেই জানেন না যে তিনি বিশ্বকাপের সময় নিয়মিত ইনজেকশন নিয়েছিলেন। ব্যথা নিয়েই পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছেন। তবে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি বড় ইনজুরি থেকে উঠে আসতে হবে। আর, সেটা সময় সাপেক্ষ।'
আরও পড়ুন- ট্র্যাজেডির ভূমিকম্প টিম ইন্ডিয়ায়! কেপটাউন টেস্টে হয়ত নেই প্রিমিয়াম তারকাই
মহম্মদ শামি এবারে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের ছয় উইকেটে পরাজয়ের পর দলের হার সম্পর্কে মুখ খোলেন। তিনি জানান যে, পরাজয়ের পরে গোটা জাতি হতাশ হয়ে পড়েছিল। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শামি জানান যে আয়োজকরা গোটা টুর্নামেন্ট তাদের গতি অব্যাহত রেখেছিল। ফাইনাল ম্যাচেও জয়ের জন্য সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।