Mohammed Shami injury: শেষ পর্যন্ত চলতি বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি (বিজিটি) সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না পেসার মহম্মদ শামির। এখনও সিরিজের দুটো টেস্ট বাকি আছে। শামির আশা ছিল, তিনি চলতি সিরিজেই জাতীয় দলে ডাক পাবেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি ডাক পাচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে। শামি শেষবার টেস্ট খেলেছেন গত বছর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।
এরপর গত বছরের শেষের দিকে তিনি একদিনের বিশ্বকাপ খেলেন। ফাইনাল ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। সেটাই শামির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তারপর থেকে পায়ের চোটের জন্য শামি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। সম্প্রতি চোট সারিয়ে তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন। তারপরই শামির আশা ছিল যে তাঁকে চলতি বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজেই জাতীয় দলে ফেরানো হবে। কিন্তু, বিসিসিআই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে রঞ্জি ম্যাচে শামি ৪৩ ওভার বল করেছেন। তারপর আরও ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিও (SMAT) রয়েছে। বিসিসিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, 'দীর্ঘ সময় বোলিং করার পর শামির পায়ে ফের ফোলাভাব দেখা দিয়েছে।'
বিসিসিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'চিকিৎসার মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, শামির হাঁটুকে বোলিং করার লোড নেওয়ার জন্য আরও তৈরি হতে হবে। সেই জন্যই বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির বাকি দুটো ম্যাচের জন্য শামিকে দলে নেওয়া হয়নি।'
বিবৃতিতে বিসিসিআই আরও বলেছে, 'শামি বিসিসিআই-এর সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মেডিকেল কর্মীদের তত্ত্বাবধানে শরীরে শক্তি সংগ্রহের এবং বোলিংয়ের উপযুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। টেস্টে বোলিংয়ের চাহিদা মেটাতে নিজের হাঁটুকে সক্ষম করে তুলবে। তাঁর হাঁটুর পরিস্থিতির ওপর শামির বিজয় হাজারে ট্রফিতে অংশগ্রহণ নির্ভর করবে।'
আরও পড়ুন- ভারতকে পুরোনো পিচ, অস্ট্রেলীয়দের জন্য সতেজ! মেলবোর্ন টেস্টের আগেই পিচ বিতর্ক জোরদার
৩৪ বছর বয়সি শামি সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি টি২০ টুর্নামেন্টে বাংলার পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন। ওই টুর্নামেন্টে ৭.৮৫ গড়ে তিনি ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন। সিএবি চায় শামি বিজয় হাজারে ট্রফিতেও বাংলার হয়ে খেলুক। কিন্তু, বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম সেক্ষেত্রে শামির ফিটনেস নিয়ে কী বলে, সেদিকেই তাকিয়ে শামি ও সিএবি কর্তারা। বিজয় হাজারে ট্রফির আগেই শামি সুস্থ হয়ে উঠলে, সেটা হবে বাংলার ক্রিকেটের জন্য বড় প্রাপ্তি।