Mohammed Shami on Hardik Pandya shouting: হার্দিক পান্ডিয়াকে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আইপিএল চলাকালীন তাঁর ওপর চেঁচিয়ে উঠেছিলেন পান্ডিয়া। সেটা টেলিভিশনের পরদায় কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন। একদিনের জাতীয় দলে পান্ডিয়ার ভবিষ্যৎ কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন মহম্মদ শামি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের আইপিএলে। সেখানেই ম্যাচ চলাকালীন শামির ওপর খেপে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন পান্ডিয়া।
ঘটনাটি যখন ঘটে, সেই সময় হার্দিক এবং শামি, দু'জনেই গুজরাট টাইটানসের খেলোয়াড় ছিলেন। পান্ডিয়া ছিলেন দলের অধিনায়ক। সেই বছর গুজরাট আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শামি। সেই সময় তিনি পান্ডিয়ার বোলিংয়ে ওঠা একটি ক্যাচ ধরতে পারেননি। তাতে হার্দিক মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি শামির কাছে গিয়ে শামির ওপর চেঁচামেচি করেন। তাতে যে তিনি বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন, তা আর গোপন রাখেননি শামি।
শুভঙ্কর মিশ্রের ইউটিউব চ্যানেলে শামি বলেছেন, 'আমি সাধারণত এই ধরনের জিনিসগুলো নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাই না। কিন্তু, যখন ব্যাপারটা বেশ খারাপ লাগে, তখন কেবল বলি। পান্ডিয়ার সঙ্গে আমার একটি ভালো সম্পর্ক আছে। ও আমার ১০ বছর ধরে বন্ধু। কিন্তু, ও যেন সেই মুহূর্তে এটা ভুলেই গেছিল। পরে ও আমাকে বলেছিল, শপথ করে বলছি যে কী বলেছি, আমি জানি না। আরে, কোটি কোটি মানুষ আমাদের স্ক্রিনে দেখেন, আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।'
এর আগে, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির টি২০ ফরম্যাট থেকে অবসর প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন শামি। তিনি বলেছিলেন যে দলে তাঁদের জায়গা পূরণ করা অত্যন্ত কঠিন। বার্বাডোসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাত রানে জয়ের সঙ্গেই ভারত তার দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপ জিতে নেয়। গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যর্থ কোহলি ওই ম্যাচে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে প্লেয়ার-অফ-দ্য-ম্যাচের পুরস্কার পান। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, এটাই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তাঁর শেষ টি২০। ডানহাতি ব্যাটার ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে তাঁর টি২০ কেরিয়ারে ইতি টানলেন। তিনি, ১২৫ ম্যাচে ৪৮.৬৯ গড়ে, ১৩৭.০৪ স্ট্রাইক রেটে ৪১৮৮ রান করেছেন।
পরে, ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত শর্মাও জানিয়ে দেন যে, তিনিও বিরাটের সঙ্গেই তাঁর টি২০ আন্তর্জাতিক কেরিয়ার সমাপ্ত করছেন। ১৫৯ ম্যাচে ৪২৩১ রান-সহ সর্বোচ্চ স্কোরার হিসাবে তাঁর টি২০ কেরিয়ার শেষ করেছেন রোহিত। পুরুষদের টি২০ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও রয়েছে রোহিতের দখলে।