Mohammed Shami on his omission in 2019 World Cup: বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া বিতর্কে বিরাট কোহলি ও রবি শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ তুললেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচে তিনি ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। তারপরও তাঁকে পরের দুটি ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর, সেই দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এবার ২০১৯ বিশ্বকাপের সেই বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলে কোহলি-শাস্ত্রীদের শামি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, 'আমি ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছি। আর কী চান?'
একদিনের বিশ্বকাপে মহম্মদ শামির চেয়ে কোনও ভারতীয় বোলার বেশি উইকেট পাননি। তিনি বিশ্বকাপে ৫৫ উইকেট পেয়েছেন। যা এশীয় বোলারদের তালিকায় তৃতীয়। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চম। তিনিই একমাত্র বোলার যিনি বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচে পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবুও, আইসিসি টুর্নামেন্টের শেষ তিনটি সংস্করণে ভারতীয় একাদশে শামি কখনও ধারাবাহিকভাবে ছিলেন না। ভারত গত তিনটি বিশ্বকাপে ২৮টি ম্যাচ খেলেছে। শামিকে তার মধ্যে মাত্র ১৮টিতে দেখা গেছে। যার মধ্যে ভারত ১৫টিতেই জিতেছে।
২০২৩ সালের মত, ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রথম চারটি গ্রুপ ম্যাচ হয়। যেখানে শামিকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ওইবার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। আর, প্রশিক্ষক ছিলেন রবি শাস্ত্রী। শামি শুধুমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নামেন। তাতেই হ্যাটট্রিক করেন। তার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন। সব মিলিয়ে চার ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। তারপরও শামিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের শেষ খেলায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও নামানো হয়নি। ওইবার, কিউইদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যায় ভারত।
শুভঙ্কর মিশ্রের ইউটিউব শো ‘আনপ্লাগড’-এ তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়, শামি স্বীকার করে নেন যে ২০১৯ সালে টিম ম্যানেজমেন্টের এই কাণ্ড-কারখানা দেখে তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছিল, প্রতিটি দলে ভালো পারফরমারের প্রয়োজন। তারপরও কেন তাঁর পারফরম্যান্সকে উপেক্ষা করা হচ্ছে? অথচ, তিনি তো সেরা পারফরম্যান্স করে দেখাচ্ছেন!
এই ব্যাপারে শামি বলেন, '২০১৯ সালে আমি প্রথমে ৪-৫টা ম্যাচ খেলিনি। পরের ম্যাচে, আমি হ্যাটট্রিক করি। তারপরে পাঁচ উইকেট নিই। তারপরের খেলায় চার উইকেট। ২০২৩ সালেও একইরকম ঘটেছিল। আমি প্রথম কয়েকটি ম্যাচে খেলিনি। তারপরে একটিতে পাঁচ উইকেট নিই। তার পরের ম্যাচে চার উইকেট। তারপরের ম্যাচে আবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলাম।'
সঙ্গে শামি বলেন, 'একটা জিনিস যা আমাকে ভাবাচ্ছে, তা হল- প্রতিটি দলের সেই খেলোয়াড়দের প্রয়োজন, যাঁরা ভালো পারফর্ম করতে পারে। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছি। আমার কাছ থেকে আর কী আশা করবেন? আমার কাছে এই বাদ পড়ার কোনও জবাব নেই। সুযোগ পেলেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। আপনি আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আর, তাতেই আমি তিনটি ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছি। এরপর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাই। মোট চারটি ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়েছি। ২০২৩ সালে, আমি সাত ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন- সানিয়াকেই কি শেষমেশ বিয়ে করছেন, মুখ খুলে প্রকাশ্যেই ভয়ঙ্কর জবাব এবার শামির, দেখুন ভিডিও
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে, শামিকে আবারও প্রথম কয়েকটি খেলায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। হার্দিক পান্ডিয়া আহত হওয়ার পরে এবং পরে বাদ পড়ার পরেই শামিকে প্রথম একাদশে ঢোকানো হয়। আর, তাতে তিনি সাতটি ম্যাচে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে ছিল দুটি ম্যাচে পাঁচটি করে উইকেট দখল। আর, এসবের দৌলতে শামি ২০২৩ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক উইকেট প্রাপক নিজেকে তুলে ধরেন।