প্রত্যেক বছরেই জমিয়ে সরস্বতী পুজো আয়োজন করেন। বাঙালি প্রথা মেনে রীতিমত ভুরিভোজেরও আয়োজন থাকে। তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। হাসিন জাহানের সরস্বতী পুজোয় আয়োজন একই থাকলেও সেলিব্রেশন এবার লাগামছাড়া। শামির বিরুদ্ধে জয়ের গন্ধ লেগে এবারের স্বরস্বতী পুজোয়।
কিছুদিন আগেই আদালতে স্বামী শামির বিরুদ্ধে খোরপোশ মামলায় জয় এসেছে। মাসিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হবে জাতীয় দলের তারকা পেসারকে। এমন অবস্থায় পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখলেন না শামির বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাসে ১.৩০ লক্ষ টাকায় কীভাবে সংসার চলবে! শামির বিরুদ্ধে জিতেও ফের মামলার পথে হাসিন
কন্যা আইরার সঙ্গেও এবার সরস্বতী পুজোয় খোশমেজাজে পাওয়া গেল হাসিন জাহানকে। আগুন রঙা বিস্কুট-শাড়িতে হাসিন যেমন নজর কাড়লেন, তেমন কন্যা আইরাকে দেখা গেল আবির রংয়ের শাড়িতে। গত কয়েক বছর ধরেই হাসিনের সরস্বতী পুজোয় আয়োজন নিশানা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধর্মান্ধদের। কন্যা বেবোও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড় পাননি মায়ের মত।
এবার তাঁদের বার্তা দিয়েই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে হাসিন বলে দিলেন, "কে কী বললেন তাতে যায় আসে না। নেতিবাচক কমেন্ট করলে পুলিশে খবর দেব। প্রত্যেক বছরেই পুজোর আয়োজন করি আমি।" এবারের পুজো আক্ষরিক অর্থেই স্পেশ্যাল। দীর্ঘ পাঁচ বছরের লড়াইয়ের অবসান ঘটেছে আদালতে। হাসিন বলছিলেন, "পুজোয় এবারের মেন্যু খিচুড়ি, বেগুন ভাজা। নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েই এবারের পুজো। মনের ভক্তিই আসল।"
যাইহোক, আদালতের রায়ে হাসিন পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাসিন জাহান প্ৰথমবার জানিয়েছেন, “দীর্ঘ দিনের একটা লড়াই শেষ হল। ভালো লাগছে। তবে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই আমি। আমার কাছে এই লড়াই এখনও শেষ নয়। মাসিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় কীভাবে সংসার চলবে! আমরা যে জীবনযাপনে অভ্যস্ত তাতে এই টাকা কিছুই নয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা ৩০ দিনের মধ্যেই উচ্চতর আদালতে আবেদন করব।”
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে শামির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন একসময়ের মডেল হাসিন জাহান। তারপর গঙ্গা-পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। প্রথমে খোরপোষ মামলায় ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন হাসিন। তবে সেই মামলায় হার হয় হাসিনের। এতেও লড়াই ছাড়েননি। আদালতের প্রাথমিক রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মহম্মদ শামির স্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত আলিপুর আদালতের বিচারপতি অনিন্দিতা গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার নির্দেশ দেন, হাসিনকে ৫০ হাজার এবং মেয়ে আইরার পড়াশুনার খরচ বাবদ আরও ৮০ হাজার। অর্থাৎ মাসিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে মহম্মদ শামিকে। যেদিন থেকে মামলা করেছেন হাসিন সেদিন থেকেই সমস্ত টাকা দিতে হবে শামিকে।