Advertisment

দেশের ফিরেই বাবার সমাধিতে সিরাজ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন আবার

অজি সফরের অন্যতম বড় আবিষ্কার মহম্মদ সিরাজ। বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন তিনি। দেশে ফিরেই বাবার সমাধিস্থলে তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝেই খবর পেয়েছিলেন বাবা মারা গিয়েছেন। তবে দেশে ফিরে আসেননি। এবার সফর শেষের পর দেশে ফিরেই বাবার সমাধিস্থলে গেলেন মহম্মদ সিরাজ। সেখানেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়।

Advertisment

গত নভেম্বরের ২০ তারিখ অস্ট্রেলিয়ায় বসেই সিরাজ খবর পান তাঁর বাবা মহম্মদ ঘাউসের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই বোর্ডের তরফে তাঁকে দেশে ফিরে এসে বাবার শেষকৃত্যে যাতে অংশ নিতে পারেন, তাঁর ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেয় বোর্ড। তবে কোভিড প্রোটোকল ভেঙে দেশে ফিরে আসেননি। বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে দলের সঙ্গেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারকা পেসার।

আরো পড়ুন: বাবাকে হারানোর দুঃখ ভুলিয়েছিলেন মা, সিরাজের বুক নিংড়ানো কাহিনী বললেন দাদা

তারপর সিরাজ সফর শেষে করেছেন রূপকথার মত। শেষ তিনটে টেস্টে অংশ নিয়ে তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ব্রিসবেনে এর মধ্যে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারও করেছেন। তিনি সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "বাবার মৃত্যু কঠিন পরিস্থিতি তুলে ধরেছিল আমার সামনে। আমি মায়ের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতাম। বাবার স্বপ্ন যাতে পূরণ হয়, সেই চেষ্টা করে গিয়েছি সবসময়। পরিবারের তরফ থেকে পুরো সমর্থন পেয়েছি। বাবার যা ইচ্ছা ছিল, সেটা পরিপূর্ণ করতেই হবে, সেই ভাবনা ছিল। সেটাই হয়েছে।"

সিডনিতে খেলতে নেমে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এসসিজি-তে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়েই ২৬ বছরের তারকাকে দেখা যায় আবেগবিহ্বল হয়ে চোখের জল মুছছেন। সেই সময় সতীর্থরা তাঁকে সামলান।

সেই ম্যাচেই হায়দরাবাদি তারকা মাঠে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন। তবে সেই ঘটনা তিনি মেনে নেননি। সরাসরি দলের ক্যাপ্টেন এবং আম্পায়ারকে জানান। সিরাজের এই সাহসিকতা, প্রতিবাদ করার মানসিকতা পরে প্রশংসিত হয়েছিল।

যাইহোক, সিরাজ বাবা হারানোর কষ্ট ভুলেছিলেন মায়ের কাছেই। এমন কাহিনী শুনিয়েছেন তাঁর দাদা ইসমাইল। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ইসমাইল বলেছেন, “সিরাজের এই পারফরম্যান্স আমাদের সকলকে খুশি করেছে। শুধু পরিবার নয়, গোটা দেশকে ও গর্বিত করেছে। বাবাকে হারানো সবথেকে বড় ক্ষতি। সেই ক্ষতি অপূরণীয়। তবে সিরাজকে এই দুঃখে সঙ্গ দেন আমার মা। প্রতিদিন মা সিরাজের সঙ্গে ২-৩ ঘন্টা কথা বলতেন। ওঁকে মোটিভেট করতেন মা। মা পাশে থাকায় দুঃখ অনেকটা সহ্য করার শক্তি পেয়েছিল সিরাজ।”

Read the full article in ENGLISH

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

BCCI Indian Cricket Team
Advertisment