বিনিয়োগ জটে অস্থির মহামেডান! ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল সরছে সাদা-কালো তাঁবু থেকে

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মত বিনিয়োগকারী সমস্যায় পড়তে চলেছে মহামেডানও। ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের সঙ্গে হঠাৎ সম্পর্কের অবনতি ক্লাবের।

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মত বিনিয়োগকারী সমস্যায় পড়তে চলেছে মহামেডানও। ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের সঙ্গে হঠাৎ সম্পর্কের অবনতি ক্লাবের।

author-image
Subhasish Hazra
New Update
NULL

ইস্টবেঙ্গল সদ্য মিটেছে বিনিয়োগকারী সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় ইনভেস্টর হিসাবে আগমন ঘটেছে ইমামি গ্রুপের। তবে ময়দানে এক প্রধানে সমস্যা মেটার মুখেই অন্য বড় ক্লাবে হাজির বিনিয়োগকারী জট। মহামেডান থেকে সরে যেতে পারে ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল। এমনটাই খবর।

Advertisment

বেশ কয়েক বছর ধরেই সাদা-কালো শিবিরে ইনভেস্টর হিসাবে রয়েছে বাঙ্কারহিল গোষ্ঠী। বিদেশি কোচ থেকে বিদেশি তারকা ফুটবলার- সফলভাবেই ক্লাব পরিচালনা করছে এই সংস্থা। অল্পের জন্য কিছুদিন আগে আইলিগ জয় করা হয়নি। সেই আক্ষেপ এখনও দীর্ঘশ্বাস হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে কলকাতার ফুটবলে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্লাবের সঙ্গে গাঁটছড়া! ঐতিহাসিক সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে মহামেডান

Advertisment

এর মধ্যেই বড়সড় দুঃসংবাদ আছড়ে পড়ছে মহামেডান শিবিরে। মহামেডান এবং বাঙ্কারহিল- দুই তরফেই রয়েছে ৫০ শতাংশ শেয়ার। তবে ক্লাব কর্তাদের অভিযোগ ক্লাবের পঞ্চাশ শতাংশেও ভাগ বসাতে চাইছে ইনভেস্টর সংস্থা। সূত্রের খবর, আইএসএল খেলার জন্য নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে বাঙ্কারহিল গোষ্ঠী। তবে নতুন গোষ্ঠী আবার বাঙ্কারহিলের ৫০ শতাংশ শেয়ারের সঙ্গেই ক্লাবের এক শতাংশ শেয়ার চাইছে। ক্লাব সবমিলিয়ে মোট ৫১ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে কোনওভাবেই রাজি নয়। কর্তাদের আশঙ্কা এতে ক্লাবের কর্তৃত্ব হারাতে হতে পারে ভবিষ্যতে।

এখানেই মনোমালিন্যের সূত্রপাত। বাঙ্কারহিলের শীর্ষকর্তা দীপক সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন, "ক্লাবের ৫০ শতাংশ শেয়ার থেকে এক শতাংশ চাওয়া হয়েছিল। আলোচনা চলছে। শীঘ্রই সেই সমস্যা মিটে যাবে। প্ৰথমে ক্লাব রাজি ছিল না। তবে এখন ওঁরা সম্মত হয়েছে নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটির পরে। তবে চুক্তি হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।"

আরও পড়ুন: মেহতাব-নবিদের সুপারিশ ইস্টবেঙ্গলে! কর্তাদের নজরে একাধিক আইলিগ তারকা

যদিও ক্লাবের শীর্ষকর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানাচ্ছেন, "ওঁরা নিজেদের শেয়ার বেচে দিক, এতে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না। শেয়ার নিয়ে প্রবলেম নেই। তবে চুক্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ওঁরা যে ইনভেস্টরকে আনছে, তাঁরা ক্লাবের কন্ট্রোলের জন্য ৫১-এর কমে রাজি হচ্ছে না। আজকে ওঁরা এক শতাংশ চাইছে, আগামীদিনে ওঁরা নব্বই শতাংশ চাইবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়! ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার হাতছাড়া হলেই নিয়ন্ত্রণ ওঁদের কাছে চলে যাবে। যে ঘটনা ঘটেছে মোহনবাগানের ক্ষেত্রে।"

সূত্রের খবর, ক্লাবের তরফে নয়া বিনিয়োগকারীর কাছে আপাতত বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। ক্লাবের ভোটিং রাইটস থাকবে কিনা, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সহ আগামী পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনভেস্ট করবে নতুন সংস্থা, এক্সিট ক্লজ, বোর্ড অফ ডিরেক্টরে ক্লাবের কতজন প্রতিনিধি থাকবে- সব বিষয়ে ক্লাবের তরফে জানতে চাওয়া হচ্ছে। নতুন সংস্থার তরফে ইতিবাচক জবাব পেলে তবেই ক্লাবের তরফে নতুন পথে এগোনো হবে। না হলে, পিছু হাঁটতে হবে বিনিয়োগকারীদের।

সবমিলিয়ে হঠাৎ করেই রেড রোডের ধারে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবে জল্পনার কালো মেঘ।

Football Kolkata Football Indian Football