/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/mohun-bagan-abahani.jpg)
২২ অগাস্ট এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের কোয়ালিফাইং ম্যাচে খেলতে নামছে মোহনবাগান। যুবভারতীতে বাগানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড। সেই ম্যাচে খেলতে নামার আগেই ভাড়াটিয়া ফুটবলার সই করানোর অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের ক্লাবটির বিপক্ষে।
আবাহনী লিমিটেড এবার আটজন বিদেশি ফুটবলারকে সই করিয়েছে। ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস, রাফায়েল অগাস্টো হঠাৎ আবাহনী ছেড়ে দিয়েছিল। তবে এএফসি কাপের জন্য আলাদা করে সই করিয়েছিল ব্রুনো ম্যাতোস, জোনাথন রেইসকে। মহামেডান, শেখ জামাল ধানমন্ডি এবং ফর্টিস এফসি থেকে যথাক্রমে উজবেকিস্তানের মুজাফফরভ, গ্রানাডার কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট ও ব্রাজিলের দানিলো আগাস্তুকে আবাহনী ধার করিয়ে এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে ঈগলস এফসির বিপক্ষে খেলিয়েছিল। সেই সঙ্গে বিদেশির কোটায় আবাহনী নামিয়েছিল ইরানের মিলাদ শেখ ও নাইজেরিয়ার দুই ফুটবলার এমেকা ও ওজোকু ডেভিডকে। ঘটনা হল, ঈগলস ম্যাচে আবাহনী জয় পায় 'ধার করা' স্টুয়ার্ট এবং দানিলোর গোলে।
কোথায় নিয়মভঙ্গ? এএফসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ফুটবলারকে নূন্যতম ৪৮ দিনের চুক্তিতে সই করাতে হবে। এই নিয়ম ভেঙেই আবাহনী খেপ খেলা একের পর এক ফুটবলারদের সই করিয়েছে মাত্র ৩০ দিনের জন্য। জানা যাচ্ছে, নাইজেরিয়ান ওজুকু, ব্রাজিলের দানিলো, সেন্ট ভিনসেন্টকে স্রেফ এএফসি কাপ খেলার জন্য নিয়েছে ৩০ দিনের চুক্তিতে।
বাংলাদেশের ক্লাবটির কোচ মারিও লেমোস নাকি যুবভারতীতে এএফসি কাপের ম্যাচে ধার করা খেপ খেলা ফুটবলারদের দিয়েই দল সাজাতে চান।
সরকারিভাবে এখনও কোনও অভিযোগ জানায়নি মোহনবাগান। তবে জানা যাচ্ছে, গোটা ঘটনার ওপর নজর রাখছে সবুজ মেরুন শিবির। খেপ খেলা ফুটবলারদের দিয়ে শক্তিশালী মোহনবাগান বধ করতে পারবে বাংলাদেশের ক্লাবটি, সেটাই আপাতত দেখার।