রাষ্ট্রপুঞ্জ ও হু- দুই বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এবার করোনা মোকাবিলার প্রচারে অংশগ্রহণ করবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। রাষ্ট্রপুঞ্জ কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্পোর্টস ডে তে একটি ক্যাম্পেন চালু করেছিল, 'বি এক্টিভ'। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রুখতে ঘরে ফিট থাকার জন্য 'হেলদি এট হোম' ক্যাম্পেন চালু হয়। এই দুই বিষয়ের প্রচারেই বিশ্বের একাধিক ক্লাবের সঙ্গে মিলে প্রচারে অংশ নেবে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুই ফুটবল পীঠস্থান।
'বি এক্টিভ' ক্যাম্পেনে ফিফার সঙ্গে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের মতো নক্ষত্রখচিত ক্লাবও। করোনা মোকাবিলায় শত্রুতা ভুলে আপাতত প্রচার 'বি এক্টিভ'।
জানা গিয়েছে বিশ্বের আরো যে ক্লাবগুলি এই প্রচারে অংশ নিচ্ছে তারা হলো- ক্লাব আমেরিকা, সিডি হুয়াডাজালারা, বেইজিং এফসি, সাংহাই সেনহুয়া, মেলবোর্ন সিটি এফসি, সিডনি এফসি, অকল্যান্ড সিটি এফসি, টিম ওয়েলিংটন সিটি এফসি, রিভারপ্লেট, অলিম্পিক দে মার্সেইলি, মাজেমবে, ফ্লামেনগো, পালমেইরাস।
হু এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ৩০ মিনিট এবং নূন্যতম ৬০ মিনিট শারীরিক অনুশীলন করতে হবে। যে কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম যেমন- নাচ, একটিভ ভিডিও গেমস, লাফ দড়ি খেলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই কারণেই 'বি এক্টিভ' এবং 'হেলদি এট হোম' ক্যাম্পেনিংয়ের অবতারণা।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, "ফুটবল মহল, সদস্য দেশ থেকে ক্লাব, সমর্থক থেকে ফুটবলার প্রত্যেককে মাঠের শত্রুতা ভুলে করোনা মোকাবিলায় সংহতি স্থাপন করার জন্য সমর্থন করতে বলা হচ্ছে। এই শিক্ষা কেবল আজকের জন্য নয়, প্রতিদিনের জন্যই।"
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো বলে দিয়েছেন, একটা বিষয় বুঝতে হবে স্বাস্থ্য সচেতনতা সবসময়েই অগ্রাধিকার পাবে। ফিফা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাবে সেকথাও বলেন তিনি।
এই ক্যাম্পেনিংয়ের অংশ হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবলাররা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "এই মূহুর্তে শত্রুতা ভুলে একসঙ্গে থাকতে হবে। আমাদের দূরে থাকতে হবে। তবে ফোকাস হারালে চলবে না। আমরা সহমর্মিতা দেখাতে পারি আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার মাধ্যমে। সক্রিয় হওয়ার অর্থ হু-এর নির্দেশিকা পালন করা।"