মোহনবাগান: ৪ (চামোরো, সুহের, নওরেম, গঞ্জালেজ)
জর্জ টেলিগ্রাফ: ০
ডার্বির পরে টানা দুটো ম্যাচ জিতে ফেলল মোহনবাগান। আগের ম্যাচে কল্য়াণীতে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলে ভবানীপুরকে হারিয়েছিল বাগান বাহিনী। এবার সবুজ মেরুন ফুটবলাররা গোলের মালা পড়াল জর্জ টেলিগ্রাফকে। ৪ গোলে মোহনবাগান চূর্ণ করল প্রতিপক্ষ জর্জকে। বাগানের হয়ে ফের একবার স্কোরশিটে নাম লেখালেন সালভা চামোরো। চামারোর পাশাপাশি বাগানের বাকি গোলদাতা ভিপি সুহের, নওরেম, গঞ্জালেজ। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখল বাগান বাহিনী।
টানা বৃষ্টিতে মোহনবাগান মাঠ অনেকটাই পিছল। বলের বাউন্স অসমান। তাই ধরে খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল ফুটবলারদের। এমন মাঠেই কোচ কিবু ভিকুনাকে স্বস্তি জোগালেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। শুরু থেকেই জর্জের অর্ধে আক্রমণ জারি রেখেছিল মোহনবাগান। বারবার আক্রমণ থেকেই মোহনবাগানের হয়ে ১৬ মিনিটে প্রথম গোল ভিপি সুহের। চুলোভার ক্রস থেকে হেডে গোল করে যান সুহের। ডার্বিতে নজর কাড়তে পারেননি কেরলের ফুটবলারটি। তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন সুহের। এদিন বেশ নজর কাড়লেন তিনি।
সুহেরের গোলের আগেই অবশ্য জর্জ গোলের খাতা খুলে খেলতে পারত। ১০ মিনিটে জাস্টিস মর্গ্যানের ফ্লোটার থেকে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন জোয়েল সানডে। তবে সানডে গোলপোস্টের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।
বিরতির আগে মোগনবাগানকে ইন্সুরেন্স গোল এনে দেন সেই সালভা। সালভা-বেইতিয়া বোঝাপড়া এবার মোহনবাগানের আক্রমণের বড় সম্পদ। তবে এদিন বেইতিয়া নন, চামারোকে দিয়ে গোল করালেন গুরজিন্দর সিং। ৩৩ মিনিটে গুরজিন্দরের ইনসুইঙ্গিং ক্রস থেকে হেডে বল জালে রাখেন চামোরো।
বিরতির আগেই ২ গোলের পরে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ কোয়ার্টারে আরও ২ গোল যোগ করল বাগান ফুটবলাররা। চুলোভার সহায়তায় বাগানের তৃতীয় গোল নংদম্বা নওরেমের। জর্জের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন ফ্রান গঞ্জালেজ। চতুর্থ গোলে সহায়তা করলেন নওরেম।
মোহনবাগান: দেবজিৎ, কিমকিমা, চুলোভা, গঞ্জালেজ, গুরজিন্দর, জোসেবা বেইতিয়া, শেখ সাহিল, ব্রিটো পিএম, নওরেম, সুহের ভিপি, সালভা
জর্জ টেলিগ্রাফ: লাল্টু, মোহন, ইচে, চিন্তা, অসীম, রাজীব, ডেনসন, বাবলু, জোয়েল, তন্ময়, জাস্টিস