আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোহনবাগানে এবার বিদেশি কোচ আসতে চলেছে। শুক্রবারই সরকারিভাবে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল হোসে অ্যান্টোনিও কিবু ভিকুনা নতুন মরশুমে সবুজ-মেরুনের কোচ হচ্ছেন। ইউরোপিয়ান ফুটবলে যথেষ্ট অভিজ্ঞ শেষ মরশুমে পোল্যান্ডের প্রথম ডিভিশন এক্সত্রালাক্সা-য় উইল্সা পোল্ক-এর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৩ সালে বিখ্যাত পোলিশ ক্লাব লেগিয়া ওয়ারশ-র হয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। যদিও সেই মরশুমে সহকারি কোচের ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
মোহনবাগানের প্রেস বিবৃতিতে দুই শীর্ষ কর্তা দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বোস জানান, কিবু-র সঙ্গে আমরা আগেই কথা বলেছিলাম। উনি মোহনবাগানের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। মোহনবাগানের কোচ হওয়ার দৌঁড়ে অ্যাশলে ওয়েস্টউড থেকে আর্জেন্টাইন ফার্নান্দো স্যান্টিয়াগো ভ্যালেরার নাম ভেসে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত পোলিশ কোচকে বেছে নেওয়ার কারণ কী মোহনবাগানের শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, কিবু-র অভিজ্ঞতা, ফুটবল-বোধ এবং ইউরোপীয় সার্কিটে দক্ষতা প্রশ্নাতীত। মোহনবাগানের ফুটবল দর্শন সম্পর্কেও উনি বেশ ওয়াকিবহাল। কঠিন পরিশ্রমী। অনুশীলন ও ম্যাচে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উদ্ভাবনী স্কিল দেখাতে পারবেন উনি। একারণেই ভিকুনা-র উপরেই আস্থা রাখা হয়েছে।
উয়েফা প্রো লাইসেন্স হোল্ডার ভিকুনা-র বায়োডেটা বাঁধিয়ে রাখার মতো। ২০১৫-১৬ সালে লেচ পোজনানের কোচিং স্টাফ হিসেবে পোলিশ সুপার কাপ জিতেছেন। ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে পোল্য়ান্ডের হয়ে খেলা জান উরবানের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফ রাউন্ডে লেগিয়া ওয়ারশ-র হয়ে কোচিং করেছেন। ২০১৩-১৪ সালে উয়েফা ইউরো কাপেও কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এর সঙ্গেই বিশ্ব ফুটবলের একাধিক তারকা- জাভি মার্টিনেজ, নাচো মনরিয়েলদের কোচ ছিলেন ওসাসুনা-য় থাকাকালীন। সবমিলিয়ে মোহনবাগানে কোচিং করিয়ে যাওয়া বাকি কোচেদের তুলনায় যে ভিকুনা-র সিভি যে অনেক উজ্জ্বল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।