ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের প্রাক্তনী। কোচ হিসেবে সবুজ মেরুনের সহকারী তো বটেই হেড কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। সেই শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে এবার হেড কোচ করে আইলিগে খেলতে নামছে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড।
আইলিগে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কোচিংয়ের অগাধ অভিজ্ঞতা। ২০১৪ থেকেই সক্রিয়ভাবে ক্লাব কোচিংয়ে যুক্ত বরাহনগরের শঙ্করলাল। সুভাষ ভৌমিক এবং সঞ্জয় সেনের সহকারী হিসাবে কোচিং কেরিয়ারের যাত্রা শুরু চিমার ট্যাকলে শিনবোন ভেঙে খেলোয়াড়ি কেরিয়ারে ইতি পড়ে যাওয়া তারকার।
২০১৭-য় মোহনবাগানে হেড কোচ হিসেবে চেয়ারে বসার সুযোগ পান। অবশ্য শুধু কলকাতা লিগের জন্যই সবুন মেরুন জার্সিতে হেড কোচের জোব্বা গায়ে চড়িয়েছিলেন শঙ্করলাল। ২০১৮-১৯ সিজনে মোহনবাগান সিজন শুরু করেছিল সঞ্জয় সেনকে হেড কোচ করে। দিপান্ডা ডিকা, কিংসলে, ইউটা কিনোয়াকি, আক্রম মোঘরাবি, ক্যামেরন ওয়াটসনদের নিয়ে বেশ শক্তপোক্ত দল গড়েছিল বাগান শিবির।
তবে মরশুমে মাঝপথে ঘরের মাঠে টানা তিনটে ড্র এবং একটা হারের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কোচ সঞ্জয়। বাকি সিজনের জন্য হেড কোচ হিসাবে শঙ্করলালকে নিয়োগ করার বাগান। শেষমেশ সেই সিজনে আইলিগে তৃতীয় স্থানে ফিনিশ করে মোহনবাগান। সেই সিজনে হেড কোচ হিসেবে কলকাতা লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন শঙ্করলাল।
মোহনবাগান পর্বের শেষে শঙ্করলাল ভবানীপুর, মহামেডানে কোচ, টিডি হন। বছর দেড়েক আগে শঙ্করলালকে হেড কোচ করে সুদেবা দিল্লি আইলিগ অভিযানে নেমেছিল। তবে সেই অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি বাঙালি কোচের। শঙ্করলালের কোচিংয়ে সুদেবা অবনমনে পড়ে যায়।
বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড আইলিগে যথেষ্ট শক্তিশালী দল। আর্জেন্টাইন বস ফার্নান্দো স্যান্টিয়াগো ভ্যারেলা এতদিন হেড কোচ ছিলেন। তবে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিতে না পারায় ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে।
অতীতে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডে কোচিং করিয়ে গিয়েছেন খালিদ জামিল, গৌরমাঙ্গি সিং, রিচার্ড হুডকে। লা লিগার বিখ্যাত ক্লাব সেভিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা এই ক্লাবে খেলে গিয়েছেন রবার্ট প্রিমাস, উইলিয়াম ওপোকু, লুকা মাজসেন-দের মত তারকারা।
এবার বেঙ্গালুরুকে সাফল্যের সন্ধান দিতে পারবেন বাঙালি কোচ, সেটাই আপাতত দেখার।