/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/Karim-bencherifa.jpg)
ভারতীয় ফুটবলে তিনি সফলতম কোচেদের অন্যতম। ঘরোয়া ফুটবলের সমস্ত ট্রফির জিতেছেন ভারতে নিজের প্রায় একদশক কোচিং কেরিয়ারে। সেই করিম বেঞ্চারিফা এবার মরক্কোর দ্বিতীয় ডিভিশনে আইজেডকে খামিসেতের দায়িত্বে এলেন।
মরক্কোর ক্লাবের তরফে নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হল সবুজ মেরুন প্রাক্তন কোচকে। বেঞ্চারিফা নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সুসংবাদ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিফার নির্বাসনের জের! কার্যত ‘পথে বসে গেল’ ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান
ভারতে কোচিং করাতে এসে প্রায় সমস্ত ঘরোয়া ট্রফিই জিতেছেন করিম। মোহনবাগানে দু-দফায় কোচিং করালেও বেঞ্চারিফা সবথেকে সফল সালগাঁওকরের কোচের জোব্বা গায়ে। ২০০৯-১০ মরশুমের শেষের দিকে বেঞ্চারিফা যখন গোয়ান ক্লাবের দায়িত্বে আসেন, তখন ক্লাব অবনমন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। করিমের জমানায় সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে সালগাঁওকর আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। মরোক্কান কোচের ম্যাজিক সেখানেই থেমে থাকে নি। সেবার সালগাঁওকরকে ফেডারেশন কাপ জিততেও সাহায্য করেন।
মোহনবাগানের কোচ হয়েও নজর কাড়া সাফল্য বেঞ্চারিফার। দু-দফায় মোহনবাগানের কোচ হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮/০৯ মরশুমে প্ৰথমবার কোচ হয়েই নিজের জাত চেনান বাগানে। কলকাতা ফুটবল লিগ যেমন জিতেছেন, তেমন ফেডারেশন কাপেও সবুজ মেরুন দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এএফসি কাপেও মোহনবাগানের জায়গা পাকা করতে সাহায্য করে করিমের মগজাস্ত্র।
After some exciting time in @hafia_fc I am excited to begin the next chapter in this book of Coach life. Looking forward to get started with the staff & players of IZK FC, look forward to a successful & winning season. Ravi d’annoncer mon nouveau challenge. #IZK#workinprogresspic.twitter.com/Cr0jOuAXhh
— Karim Bencherifa (@KarimBencherifa) August 16, 2022
শুধু তাই নয় মোহনবাগানে কোচিং পর্বের শুরুতেও বেঞ্চারিফা আইলিগে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব গড়েন। পরে মোহনবাগানের সেই অপ্রতিরোধ্য জয়রথ থেমে যায় ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
মোহনবাগানে বেঞ্চারিফার দ্বিতীয় স্পেলের কোচিং শুরু হয় ২০১২/১৩ মরশুমে। সেই মরশুমে আগের মত ম্যাজিক দেখাতে পারেনি করিমের কোচিং। তবে মোহনবাগানকে অনবমন বাঁচিয়ে মানরক্ষা করেছিলেন সবুজ মেরুন ভক্তদের।
শেষবার ভারতে কোচিং করিয়েছিলেন ২০১৫-য়। পুণে এফসিতে। তারপরেই পাড়ি দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের ক্লাব ওয়ারিয়র্স এফসিতে। এরপরে টানা দু-বছর অনির্দিষ্টকালের জন্য কোচিং থেকে ব্রেক নেন।
আরও পড়ুন: আশিয়ানের সেই বেক তেরো সাসানা! সেখানকার ব্রাজিলীয়ই এবার ইস্টবেঙ্গলের তুরুপের তাস
এরপরে মরক্কোর যুব দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন টানা দু-বছর। জাতীয় দলের কোচিং ছেড়ে দেন মরোক্কার প্ৰথম ডিভিশনের মলোদিয়া ঔজ্দার ক্লাবে কোচিংয়ের অফার পেয়ে। চলতি বছরে ইতিহাদ খেমিশতের দায়িত্ব নেওয়ার আগে গিনির হাফিয়া ফুটবল ক্লাবে অল্প সময়ের জন্য কোচিং করিয়ে এসেছেন।
আপাতত ইতিহাদ খেমিশতকে প্ৰথম ডিভিশনে তোলাই চ্যালেঞ্জ সবুজ মেরুনের প্রাক্তন কোচের