মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giants) সময়টা আপাতত বেশ ভাল যাচ্ছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) জামশেদপুর এফসি-কে (Jamshedpur FC) ২-০ গোলে হারিয়ে তারা চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL 2024-25) ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফুরফুরে মেজাজ কাটাতে দলের বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার ইডেন গার্ডেন্সে হাজির হয়েছিলেন। কারণটা আপনাদের অজানা নয়। লখনউ সুপার জায়ান্টের (Lucknow Super Giant) বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। আর এই ম্য়াচে কেকেআর বোলারদের যেভাবে পিটিয়ে ছাতু করলেন লখনউয়ের ব্যাটাররা, তা কার্যত তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেমি ম্য়াকলারেনরা।
এই ম্য়াচে টস জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু, তাঁর এই সিদ্ধান্ত আদৌ সঠিক ছিল কি না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ শেষপর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করেছেন। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করলেন মিচেল মার্শ এবং নিকোলাস পুরান আর কলকাতার এই দিশেহারা পরিস্থিতি মাঠে বসে দেখলেন মোহনবাগানের তারকা ফুটবলাররা।
মার্শ-মার্করামের ওপেনিং পার্টনারশিপ
এই ম্যাচে লখনউয়ের ব্যাটাররা শুরু থেকেই কেকেআর বোলারদের কচুকাটা করতে শুরু করেন। শুরুটা করেছিলেন মিচেল মার্শ এবং এইডেন মার্করাম। তাঁদের মধ্যে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান মারক্রাম। এরপর শুরু হয় মার্শের তাণ্ডব। মাত্র ৩৬ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষপর্যন্ত ৪৮ বলে ৮১ রান করে তাঁকে ফিরে যেতে হয়। তাঁর ব্যাট থেকে ৬ চার এবং ৫ ছয় বেরিয়ে এসেছে।
নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিং
ততক্ষণে 'নিকি শো' শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটার মাত্র ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় উইকেটে আব্দুল সামাদের সঙ্গে ১৭ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন পুরান। আর লখনউ ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইডেন গার্ডেন্সে এখনও পর্যন্ত ২৬২ রানের টার্গেট তাড়া করা সম্ভব হয়ে। মঙ্গলবার কেকেআর ২৩৯ রান করতে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।