চ্যাম্পিয়ন হয়েই আই লিগকে বিদায় জানানোর পথে সবুজ-মেরুন। আজ কল্যাণী স্টেডিয়ামে বাবা দিয়াওয়ারার গোলে আইজল এফসি-কে ১-০ হারিয়ে তাদের দ্বিতীয় আই-লিগ খেতাব জিতে নিল মোহনবাগান। আরও চারটে ম্যাচ খেলা বাকি, যেগুলি আলঙ্কারিক স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই রয়ে যাবে, বিশেষ করে ১৫ মার্চের ডার্বি তো বটেই।
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার সঙ্গে একত্রীকরণের ফলে দ্বিতীয় সারির এই ঘরোয়া লিগ থেকে বিদায় নিচ্ছে ২০১৫-১৬ সালের আই-লিগ চ্যাম্পিয়নরা। পরিসংখ্যান হয়তো এ ক্ষেত্রে অর্থহীন, তবে রেকর্ড রাখার স্বার্থে বলে রাখা, যে স্রেফ ১৬টি ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্টের পাহাড় খাড়া করে সবুজ-মেরুন। এবং গত মরশুমে পঞ্চম স্থানে লিগ শেষ করে তারা, শীর্ষে থাকে চেন্নাই সিটি।
চলতি মরশুমে ১৬টি ম্যাচ থেকে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল এবং পাঞ্জাব এফসি, চতুর্থ স্থানে ১৫টি ম্যাচ খেলে ২২ পয়েন্ট নিয়ে রিয়েল কাশ্মীর। তবে একদম সরল অঙ্কের হিসেব করলেও ম্যারিনার্সের পয়েন্ট সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এদের কারোর পক্ষেই, বলাই বাহুল্য।
এই মরশুমে তাঁর দশম গোলটি আজ করে ফেললেন দিয়াওয়ারা, ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায়, অ্যাসিস্ট করলেন ইয়োসেবা বেইতিয়া। তার আগ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে দু'দলের মধ্যে, কিন্তু জালের নিচের দিকের কোণায় বল জড়িয়ে দিয়ে লড়াইয়ের অবসান ঘটালেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।
কিবু ভিকুনার তত্ত্বাবধানে এই নিয়ে পরপর আটটি ম্যাচ জিতে নিল, লিগে অপরাজিত রইল একটানা ১৩টি ম্যাচে। এর আগে পর্যন্ত তাদের খাতায় ছিল ১২টি জয়, তিনটি ড্র, এবং স্রেফ একটি হার, গত ডিসেম্বর মাসে চার্চিল ব্রাদার্সের বিপক্ষে। গোল সংখ্যা লিগ-সর্বোচ্চ ৩৫।