Advertisment

গৌরবের ইতিহাস নিয়ে সোনার গোলার্ধে, বিখ্য়াত দুই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা মোহনবাগানের

মোহনবাগান এবার ঢুকে পড়ল বিশ্বের প্রাচীন ক্লাবগুলির সঙ্গে একই বন্ধনীতে। দেড়শো বছর পেরোনো ক্লাবের সঙ্গেও চুক্তি পাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mohun Bagan

নতুন সম্মান বাগানের মুকুটে (ফেসবুক)

গত সপ্তাহেই স্প্যানিশ কোচ এনে চমকে দিয়েছিল মোহনবাগান। তারপরের সপ্তাহেই গ্রুপ অফ পায়োনিয়ার্সের বৃত্তে ঢুকে পড়ল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। নিঃসন্দেহে যা বড় গৌরব শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের। কিছুদিন আগেই স্পোর্টিফ্যান নামক এক স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ফেসবুক পেজে বাগানের দুই শীর্ষকর্তার সঙ্গে ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। সেই বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন সেই ম্যানেজমেন্ট সংস্থার প্রতিনিধিও।

Advertisment

Mohun Bagan Coach: মোহনবাগানের কোচ কিবু ভিকুনা, ঝলমলে বায়োডেটা চোখ ধাঁধাবে

তারপর সপ্তাহের শুরুতেই ক্লাব অফ পায়োনিয়ার্স-এর পেজে শেয়ার করা হল মোহনবাগানের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি। কিন্তু কী এই গ্রুপ অফ পায়োনিয়ার্স? বিশ্বের ঐতিহ্যমণ্ডিত সমস্ত ফুটবল ক্লাবের তরফে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল বছর ছয়েক আগে। উদ্যোক্তা ছিল ফুটবল দুনিয়ার প্রাচীনতম ক্লাব শেফিল্ড এফসি। সেই গ্রুপেই ইতিমধ্যে রয়েছে কুইন্স পার্ক এফসি, রয়্যাল অ্যান্টওয়ার্প, হংকং এফসি, ইয়োকোহমা এফসি-র মতো একশো বছরেরও বেশি 'বয়সি' মোট ২২টি ক্লাব। মোহনবাগান এই পরিবারের ২৩তম সদস্য।

সারা বছর ধরে গোটা বিশ্ব জুড়ে পেশাদারি ও অপেশাদার টুর্নামেন্ট খেলার মধ্যে দিয়ে ফুটবল ঐতিহ্যের প্রসার ঘটানোই এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে ১৫ আগস্ট পায়োনিয়ার্স কাপেও খেলে থাকে ক্লাবগুলি। ঘটনাচক্রে, সরাসরি ক্লাবগুলি এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় না। বরং ক্লাবের সঙ্গে জড়িত থাকা ফ্যানস, স্টাফ কিংবা প্রাক্তন ফুটবলাররা সংশ্লিষ্ট ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন।

Mohun Bagan included in pioneers group ঐতিহাসিক মুহূর্তে মোহনবাগান (ফেসবুক)

সূত্রের খবর, শেফিল্ড এফসি-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই গাটছড়া বাঁধতে চলেছে মোহনবাগান। কথাবার্তা প্রায় পাকা। এই চুক্তির দায়িত্বে থাকা শেফিল্ড এফসি-র এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন, মোহনবাগানের সঙ্গে আগামী দিনে এই গ্রুপের কোনও ক্লাবের সঙ্গে টাই-আপ হতেই পারে। শেফিল্ডের সঙ্গে গ্রুপ অফ পায়োনিয়ার্সের বর্তমানে সবথেকে বড় পেশাদার ক্লাব জেনোয়া। ইতালিয়ান এই ক্লাবটিও মোহনবাগানের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা চালাতে উদ্যোগী।  টাই-আপ হলে কী হতে পারে? সেই আধিকারিক জানাচ্ছেন, মোহনবাগান শেফিল্ড কিংবা জেনোয়ার নিজস্ব মাঠে প্রাক-মরশুম অনুশীলন সারতে পারে। টেকনিকাল মতামতের আদান প্রদান হতে পারে। অবশ্য গোটা বিষয়টাই সম্ভবনা স্তরে রয়েছে।

এদিকে, শেফিল্ড এফসি ভারতে আসছে শীঘ্রই। দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে ২৯শে জুলাই মোহনবাগান দিবসেও দেখা যেতে পারে শেফিল্ডের থেকে আসা প্রতিনিধিদলকে। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, শেফিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে পায়োনিয়ার্স কাপ চাইলে আয়োজন করতে পারে মোহনবাগান।

বাগানে এখনও ইনভেস্টরের বিষয়টি পুরোপুরি চূড়ান্ত নয়। হাপিত্যেশ করে বসে সমর্থকরাও। তার মধ্যেই এমন খবরে তীব্র গরমেও যেন বাগান তাঁবুতে বসন্তের সুবাতাস।

Kolkata Football Mohun Bagan
Advertisment