মোহনবাগানঃ ১ কাস্টমসঃ ১
(মুনোজ গঞ্জালেজ) (স্ট্যানলি)
ফের কলকাতা লিগে পা হড়কাল মোহনবাগান। পিয়ারলেসের পরে এবার ঘাতক দলের নাম কাস্টমস। কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচেই পিয়ারলেসের কাছে হারতে হয়েছিল বাগানকে। ক্রোমার দাপটের কাছে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ভিকুনা ব্রিগেডকে। এই ম্যাচেও সেই চিত্র। ১-১ গোলে কাস্টমসের বিপক্ষে কোনওরকমে ড্র করল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ফ্রান গঞ্জালেজের করা গোল দ্বিতীয়ার্ধের একদম শেষ লগ্নে শোধ করে দেন কাস্টমসের স্ট্যানলি।
কুঁচকিতে চোটের জন্য এদিন ফ্রান মোরান্তেকে বাইরে রেখেছিলেন কোচ ভিকুনা। বদলে তিন বিদেশিকে নিয়েই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন তিনি। শুরু থেকেই দাপট দেখালেও দিনের শেষে মোহনবাগানের নামের সঙ্গে হতাশা। কারণ, স্ট্রাইকিং ফোর্সে ভেদ্যতার অভাব। দুই মাঝমাঠের ছন্নছাড়া ফুটবল। সৃষ্টিশীল ফুটবলারের অভাবেই একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে গোল করতে পারল না মোহনবাগান।
আরও পড়ুন মজিদ-জামশিদের যুগলবন্দি, অরিজিতের থিম সং, ইন্ডোরে লাল-হলুদ মশাল জ্বালল ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের ২১ মিনিটে বক্সের মধ্যে জোরালো শটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন ফ্রান গঞ্জালেজ। সেই এগিয়ে যাওয়া। তারপরে একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেননি মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে কিমকিমা লাল কার্ড দেখে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আরও বিপাকে পড়ে যায় বাগান ফুটবলাররা। অন্যদিকে কাস্টমসের স্ট্যানলি, অমিতরাও গোলের সুযোগ পেয়েছিল একাধিকবার। কাজে লাগাতে পারেনি দু-দলই।
৮২ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে কাস্টমসের দেবায়ন মার্চিং অর্ডার পায়। তবে তাতে সুবিধা করতে পারেনি কিবু ব্রিগেড। বরং অমিতের কর্ণার কিক থেকে সমতাসূচক গোল করে যান স্ট্যানলি।
পরপর দুই বছর কাস্টমসকে মোহনবাগান ২-০ গোলে বধ করেছিল। এক মরশুম আগে কামো বায়ি এবং ক্রোমার গোলে জয়। তারপর গত মরশুমেই হেনরি কিসেক্কার জোড়া গোলে কাস্টমসকে হারতে হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, দল বদলেছে। এবার দলে স্প্যানিশ ফুটবলারের আধিক্য। তা সত্ত্বেও, হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগানকে।
মোহনবাগানঃ শঙ্কর রায়, আশুতোষ মেহতা, মুনোজ, কিমকিমা, গুরজিন্দর, রোমারিও, শিল্টন ডি সিলভা (ইমরান খান), জোসেবা বেইতা (ফ্রান্সিস), নওরেম, সুহের (সুরাবুদ্দিন), সালভা চামারো
কাস্টমসঃ শুভম, অমিত, সৌরভ, এমানুয়েল, স্নেহাশিস, রাম মালিক, জন অমপং (আদজা), দেবায়ন, রাকেশ ধারা, সুমিত, স্ট্যানলি