একই সঙ্গে জোড়া টুর্নামেন্ট খেলছে মোহনবাগান। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড। তবে বুধবার থেকে তৃতীয় টুর্নামেন্ট চালু হয়ে গেল। এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের পর্বে মোহনবাগান প্ৰথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে নেপালের মাছিন্দ্রা এফসির।
আর এএফসি কাপে খেলতে নামার ৭২ ঘন্টা আগে ডার্বি হার হজম করতে হয়েছে হুয়ান ফেরান্দোর সুপার জায়ান্টদের। শুভাশিস বোস, অনিরুদ্ধ থাপা, আব্দুল সাহাল, জেসন কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকু, লিস্টন কোলাসো, আশিস রাই, আনোয়ার আলি, মনবীর সিং, হুগো বুমোসের মত সেরা তারকারা থাকলেও ডার্বি হারতে হয়েছে সবুজ মেরুন শিবিরকে।
ডার্বি হারের আবহে এএফসি কাপে খেলতে নামার আগে বাগানের স্প্যানিশ বস হুয়ান ফেরান্দো অবশ্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবকেই দায়ী করেছেন। মাছিন্দ্রার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে আইএসএল-এর চ্যাম্পিয়ন কোচ জানাচ্ছেন, "কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকু মাত্র গত সপ্তাহেই এসেছে। মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। কামিন্স এবং সাদিকুর থেকে সকলের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এটা বোধগম্য। তবে ওঁদের সময় দিতে হবে। দল হিসেবে অনুশীলনে ওঁরা ভালোই করছে।"
হঠাৎ করে বিদেশ থেকে এসে ভারতীয় ফুটবলে সফল হওয়া বেশ কঠিন। মেনে নিচ্ছেন বস ফেরান্দো। বলছেন, "মনে রাখতে হবে বাইরে থেকে হঠাৎ করে ভারতে মানিয়ে নেওয়া মোটেই সহজ নয় মানসিকভাবে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল বদলে যায়। অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। গোটা এই মানিয়ে নেওয়ার প্রসেসের ওপর ভরসা রাখতে হবে। পরের ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো হবে। আমি আশাবাদী।
এবার সিজনের প্ৰথম থেকেই মোহনবাগান স্পষ্ট করে দিয়েছে আইএসএল-এর পাশাপাশি এএফসি কাপেও পাখির চোখ করছে ক্লাব। একের পর এক দেশি-বিদেশি সুপারস্টার দলে নিয়েছে সবুজ মেরুন শিবির। বিদেশি হিসাবে ইউরো কাপে খেলা ইউসতে, আর্মান্দো সাদিকুকে নিয়েছে মোহনবাগান। আপফ্রন্টে সাদিকু-দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন কাতার বিশ্বকাপে খেলে আসা অজি সুপারস্টার জেসন কামিন্স। এছাড়াও ব্রেন্ডন হ্যামিল, ফ্লোরেন্টিন পোগবা, হুগো বুমোসকে ধরে রাখা হয়েছে। অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, আনোয়ার আলির মত দেশীয় তারকাদের নিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা শক্তিশালী স্কোয়াড গড়েছে বাগান।
কোচ ফেরান্দো আপাতত সমর্থকদের কাছে সময় চেয়ে নিচ্ছেন। তাঁর যুক্তি, "সবসময়ই আমরা ফুটবল নিয়ে কথা বলে চলেছি। কীভাবে উন্নতি করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলছি। ক্লাব আপাতত একটাই প্রসেসের ওপর ভরসা রাখছে। নতুন টিডি এবং হেড কোচ সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ২-৩ দিনে বিশাল উন্নতি অসম্ভব। আমাদের আরও সময় প্রয়োজন।"