কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে সেই ওস্তাদ যে আপুইয়া ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জামশেদপুর এফসি-র (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনাল ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giants)। এই ম্য়াচে মেরিনার্সরা ২-০ গোলে জয়লাভ করেছে। আর সেইসঙ্গে আইএসএল (ISL 2024-25) ফাইনালের টিকিটও তারা কনফার্ম করে ফেলেছে।
এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয়লাভ করে যারপরনাই খুশি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের শেষে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, 'ট্রফি জেতা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে। আর মোহনবাগানের হয়ে খেলাটাই তো আমার কাছে স্বপ্ন। এই বছর আরও একটি ট্রফি জিততে চাই এবং ডবল করতে চাই।'
পাশাপাশি আপুইয়ার পারফরম্য়ান্সের যথেষ্ট প্রশংসাও তাঁর মুখে শুনতে পাওয়া গেল। মোহনবাগান অধিনায়ক বললেন, 'মরশুমের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা ও করেছে। তবে শুধুমাত্র আপুইয়া একা নয়, মোহনবাগানের প্রত্যেক ফুটবলার প্রমাণ করেছে যে এটাই টুর্নামেন্টের সেরা দল। আর একটা সিঁড়ি আমাদের সামনে বাকি রয়েছে। সেটা ফাইনাল। এই দলটার জন্য আমি সত্যিই গর্বিত।'
ইতিপূর্বে, প্রথম লেগের সেমিফাইনাল ম্য়াচটি জামশেদপুরের জেআরডি টাটা কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ম্য়াচে জামশেদপুর ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল। জোড়া লেগ মিলিয়ে মোহনবাগান ৩-২ গোলে জয়লাভ করেছে। তবে গত ম্য়াচে যথেষ্ট উত্তেজনা দেখতে পাওয়া যায়। এমনকী, বেশ কয়েকজন মোহনবাগান সমর্থক আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই আঁচ পড়েছিল দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালেও। যদিও জামশেদপুরের কোনও সমর্থককে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ঘরের মাঠে ম্য়াচ জিতে যাবতীয় প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে।
জিতে বদলা নিয়েছি: শুভাশিস বসু
এই প্রসঙ্গে শুভাশিস বললেন, 'জামশেদপুরের ঘটনা সম্পর্কে দলের প্রত্য়েক ফুটবলারই অবগত ছিল। সমর্থকরা এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বলে আমরা দুঃখিত। তবে আমরা ম্য়াচ জিততে পারি। এটাই আমাদের কাছে বদলা নেওয়ার একমাত্র জায়গা ছিল। ওদের মতো আচরণ তো আমরা করতে পারি না। আমরা ম্য়াচ জিতে বদলা নিয়েছি। দলের প্রত্যেক সমর্থককে আমরা এই জয়টা উৎসর্গ করতে চাই। আপনারা ১২ তারিখ মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। Indian Super League (ISL) ট্রফি কলকাতায় রাখতে আমরা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেব।'