Mohun Bagan Super Giant vs Bengaluru FC: চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। একটা মরশুমে ৫৬ পয়েন্ট। একটা মরশুমে ১৬ ক্লিনশিট। এক মরশুমেই লিগ শিল্ড জয়ের পর ট্রফি জিতে খেতাব 'ডবল' করা। এই মরশুমে একাধিক রেকর্ড গড়েছে মেরিনার্সরা। একেবারে যোগ্য দল হিসেবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ISL খেতাব জয় করেছে। ফাইনালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তারা ২-১ গোলে জয়লাভ করল।
ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। তিনি বললেন, 'এটা দলের জয়। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভাল পারফরম্য়ান্স করেছি। তবে আমি সমর্থকদের আলাদা করে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের সাপোর্ট ছাড়া এই সাফল্য অর্জন করতে পারতাম না। প্রথমে লিগ শিল্ড এবং তারপর ট্রফি জিততে পেরেছি। আজকের রাতে আমার থেকে সুখী আর কেউ হতে পারবে না।'
মোহনবাগানের কাছে শনিবারের ম্য়াচটা যে প্রত্যাবর্তনের ম্য়াচ ছিল, সেটা আলাদা করে বলার দরকার নেই। ম্য়াচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই চাপ বেড়ে যায় মেরিনার্সদের উপরে। অ্যালবার্তো রডরিগসের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান।
কিন্তু, পেনাল্টি শটে কিছুক্ষণের মধ্যে সমতা ফেরান বাগানের অজি তারকা জেসন কামিন্স। নির্ধারিত সময়ে দুটো দলই ১-১ গোলে সমতা বজায় রাখে। ম্য়াচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। আর সেখানেই বাজিমাত করেন জেমি ম্য়াকলারেন। ৯৬ মিনিটে তাঁর গোলেই ম্য়াচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আর সেইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আইএসএল জয়ও।
শুভাশিস আরও যোগ করেন, 'আমি যে কতটা আনন্দিত সেটা আমি বলে বোঝাতে পারব না। এই দলটাকে নিয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে যথেষ্ট ঐক্য রয়েছে। আর এই সংহতি জিততে সাহায্য করেছে। মোহনবাগান দলের প্রত্যেকেই আজকের ম্য়াচটা জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।'