Advertisment

মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা

ফাইনালের জন্য বাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা ভরসা রেখেছিলেন আই-লিগ জয়ী দেবজিত মজুমদারের ওপরেই। চলতি মরসুমে বাগানের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় ও ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচ। 'সেভজিত' মান রেখেছিলেন কোচের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mohun bagan vs Gokulam Kerala Durand Cup 2019 Final

Mohun bagan vs Gokulam Kerala Durand Cup 2019 Final

মোহনবাগান- চামোরা ৬৪'

Advertisment

গোকুলাম কেরালা এফসি- মার্কাস ৪৫' (পেনাল্টি) ও ৫১'

১২৯ তম ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা

১৯ বছর পর মোহনাবাগানের সামনে সুযোগ ছিল ফের একবার ডুরান্ড ট্রফি ঘরে আনার। ইস্টবেঙ্গলকে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চবার (১৭) শিরোপা জেতার। কিন্তু গোকুলাম কেরালা এফসি-র কাছে ২-১ গোলে হেরেই ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ তাদের। শনিবার ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই আশাহত হতে হল কিবু ভিকুনার ছেলেদের। শেষ হাসি হাসলেন অন্য স্প্যানিশ কোচ স্যান্টিয়াগো ভারেলা।

প্রথমার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে অন্তত দু'টো গোল করে ফেলতেই পারত গোকুলাম। তিন বার গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু শুধুমাত্র ফিনিশিং করতে না পারার জন্য গোলের খাতা খুলতে পারল না তাঁরা। বাগানের রক্ষণ ভাগের দৈন্য দশা ফের একবার প্রকট হয়ে গেল প্রথমেই। গোটা প্রথমার্ধ জুড়েই ম্যাচে আধিপত্য নিয়ে খেলল কেরালার দলটি।

আরও পড়ুন সুহেরের জোড়া গোলে কাশ্মীরকে গুঁড়িয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে মোহনবাগান

উবেইদের হাতে থেমে গেল ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড জয়ের স্বপ্ন

ফাইনালের জন্য বাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা ভরসা রেখেছিলেন আই-লিগ জয়ী দেবজিত মজুমদারের ওপরেই। চলতি মরসুমে বাগানের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় ও ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচ। 'সেভজিত' মান রাখলেন কোচের। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে রুখে দিয়েছিল উবেইদ সিকে। ফলে লড়াইটা দেবজিত বনাম উবেইদও ছিল।

আরও পড়ুন অপরাজিত থেকেই ডুরান্ডের শেষ চারে খেলবে মোহনবাগান

চামোরো-সুহেরকে ওপরে রেখে কিবুনা নাওরেম-বেইতিয়া-সুরাবুদ্দিনকে ওঠানামা করাচ্ছিলেন কোচ। স্ক্রিন খেলছিলেন সাহিল। ম্যাচের ৪৪ মিনিটেই ঘটে যায় অঘটন। ডি-বক্সের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান ট্যাকেল করার সময় কিসেক্কাকে ফাউল করে বসেন দেবজিত। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড ও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। মার্কাস দুরন্ত শটে গোকুলামকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটের মধ্যে ফের সেই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ফুটবলার দুরন্ত গোলে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন। চলতি মরসুমের ১১ নম্বর গোলটা করে ফেললেন তিনি।

মনে হচ্ছিল এই গোলই সম্ভবত ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিচ্ছে। কিন্তু উবেইদ বাগানকে গোল উপহার দিয়ে বসলেন ম্যাচের ৬৪ মিনিটে বেইতার ফ্রি-কিক থেকে চামোরো হেড করেন। উবেইদের বলটা গ্রিপ করতে গিয়ে ফসকে গোলের মধ্যেই বল ঢুকিয়ে দেন। ৪৩ হাজার সমর্থকের শব্দব্রহ্মে কেঁপে ওঠে যুবভারতী। তাঁরা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন যে, বাগান ফিরে আসবে লড়াইতে। বাগান ফুটবলাররাও মরিয়া লড়াই চালাতে থাকে গোল শোধ করে খেলাটাকে অন্তত অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাওয়ার। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয়ে যায় কেরালা। দলের ডিফেন্ডার জেস্টিন জর্জ জোড়া হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়েন। কিন্তু মোহনবাগান সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারল না।

স্বপ্নভঙ্গের রেশ নিয়েই যুবভারতী ছাড়তে হল কিবু ভিকুনা ব্রিগেডকে।

মোহনবাগান: মোরান্তে (গঞ্জালেজ), গুরজিন্দর, আশুতোষ, সালভাদর, বেইতিয়া, নাওরেম, কিমকিমা, সুহের, সুরাবুদ্দিন (জেসুরাজ), দেবজিৎ ও সাহিল

গোকুলাম এফসি: উবেইদ, নাওচা, ডেনিস, ইরশাদ, মার্কাস, রাশিদ, মেইতেই, সেবাস্তিয়ান, শিবিল, জেস্টিন ও হেনরি (ব্রুনো পেলিসারি)।

Mohun Bagan
Advertisment