আগামিকাল সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি মোহনবাগান ও মহমেডান। ১২ দলীয় চলতি কলকাতা লিগে পাঁচ নম্বরে সাদা-কালো ব্রিগেড। আট ম্য়াচে তাদের সংগ্রহে ১৩ পয়েন্ট। অন্য়দিকে মোহনবাগান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে।
মহমেডানের জন্য় ডু-অর-ডাই ম্য়াচ হতে চলেছে এটা। জিততেই হবে তাদের। নাহলে লিগে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। শুধু সমর্থকদের মুখের দিকে তাকিয়েই এই ম্য়াচটা জিততে চাইছেন মহমেডানের প্রাক্তন ফুটবলার ও বর্তমান টিডি দীপেন্দু বিশ্বাস। বুধবার প্র্য়াকটিসের পর এমনটাই বলছেন দীপেন্দু।
মোহনবাগানকে অত্য়ন্ত সমীহের চোখেই দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। দীপেন্দু বলছেন, "কলকাতা লিগের সবচেয়ে বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলাটা সবসময় উপভোগ্য়। ব্য়ক্তিগত ও দলগত ভাবে খেলোয়াড়রা নিজেদের পরখ করে নেওয়ার সুযোগ পায়। মোহনবাগান বিরাট দল। ওদের প্রতি আমারা শ্রদ্ধাশীল।"
মোহনবাগান ম্য়াচই ভাগ্য় গড়ে দেবে লিগের বলেই মত দীপেন্দুর। তিনি বলছেন, "আমরা জানি আমাদের থেকে কী প্রত্য়াশা করা হচ্ছে। মোহনবাগান খুব ভাল দল। এই ম্য়াচটাই লিগে আমাদের ভাগ্য় নির্ধারণ করে দেবে। আগামিকাল আমাদের সেরাটাই উজার করে দিতে হবে মাঠে। ফ্য়ানেদের জন্য়ই জিততে চাই। এসব হাইপ্রোফাইল ম্যাচগুলোই চরিত্র বলে দেয় দলের।"
আরও পড়ুন: রেনবোকে হারিয়ে লিগের সেকেন্ড বয় মোহনবাগান
-->
গত মাসে ডুরান্ড কাপে মহমেডানকে হারিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সল্টলেকে কোনও প্রতিশোধ স্পৃহা কাজ করছে না মহমেডানের। সাফ বলে দিলেন দীপেন্দু। তাঁর সংযোজন, "আমাদের কাছে এই ম্য়াচ বদলার ম্য়াচ নয়। ওরা ডুরান্ড কাপে জিতেছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। ফলাফল নিয়েও কোনও অভিযোগ নেই। ওরা যোগ্য় দল হিসাবে জিতেছে। এখানেই চ্য়াপ্টার ক্লোজ। আমরা প্রতিশোধে অনুপ্রাণিত নই, আরও ভাল পারফর্ম করতে চাই।"
শেষ তিন ম্য়াচে মহমেডান পারেনি মোহনবাগানকে হারাতে। এমনকী ইতিহাস বলছে ২০১৭-র পর থেকে আর মহমেডান বাগানের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি। ২০১৬ সালে শেষবার ডোডোজের একমাত্র গোলে মহমেডান হারিয়েছিল বাগানকে। এখন দেখার যুবভারতীতে দীপেন্দুরা ইতিহাস বদলাতে পারে কি না?
গত রবিবার কল্য়াণীতে এনবিপি রেনবো এসি-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল মোহনবাগান। ম্য়াচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন শুভ ঘোষ। এই জয়ের সুবাদে লিগ টেবিলে দু'নম্বরে উঠে এসেছিল সবুজ-মেরুন। মহমেডানকে হারাতে পারেই লিগে সবার ওপরে চলে আসবে কিবু ভিকুনার দল।