মোহনবাগান-১ (শুভ ঘোষ ৬৫')
এনবিপি রেনবো এসি-০
রবিবাসরীয় কল্য়াণীতে এনবিপি রেনবো এসি-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান। ম্য়াচের একমাত্র গোলটি করলেন শুভ ঘোষ। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে বক্সের মধ্য়ে বেইতিয়ার মাপা কর্নার কিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন ব্রিটোর পরিবর্তে নামা শুভ।
এই জয়ের সুবাদে বাগান আট ম্য়াচে ১৪ পয়েন্ট তুলে লিগ টেবিলে ছ থেকে দু'নম্বরে উঠে আসল। যদিও একই পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রয়েছে পিয়ারলেস। গোল পার্থক্য়ে তারা বাগানের থেকে এগিয়ে রয়েছে। গত ম্য়াচে এই মাঠেই এরিয়ানের বিরুদ্ধে পা হড়কেছিল বাগানের। ১-২ গোলে হারতে হয়েছিল। এরিয়ানের বিরুদ্ধে বাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি পেয়েছিলেন সেই শুভ। রেনবোর বিরুদ্ধে শুভই বাগানের ত্রাতা।
এদিন প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল না খেললে বিরতির আগেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কল্যাণীতে ম্য়াচের ২৪ মিনিটে নংদাম্বা নাওরেমর শট বার ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার ছ'মিনিটের মধ্য়েই সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ভিপি সুহের। সিটার থেকে গোল করতে ব্য়র্থ হলেন তিনি। এই মরসুমে বারবার তাঁর এই অসুখ ধরা পড়েছে।
এদিন দুপুর আড়াইটের সময় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পিছিয়ে বিকেল পাঁচটায় করা হয়েছিল। বাগানের এই জয় সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাল, তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
মোহনবাগান: দেবজিত মজুমদার, লালরামচুলোভা, লালচানকিমা, ড্য়ানিয়েল সাইরাস, গুরজিন্দর কুমার, এসকে সহিল, ফ্রান গঞ্জালেজ, জোসেবা বেইতিয়া (চামোরো), নংদাম্বা নাওরেম (ফইয়াজ), ব্রিটো (শুভ) ও ভিপি সুহের।
এনবিপি রেনবো এসি: অঙ্কুর, রিচার্ড, প্রদীপ, শুভঙ্কর, ছট্টু, অভিজিত, সৌরভ, সৈকত, কাজিম, সুজয়, ফেলিক্স ও চিডি।