সমর্থকদের হাতেই এবার মোহনবাগানের মালিকানা

হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বাগানের আর পাঁচজন সমর্থকের মতো আপনিও এখন থেকে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের মালিকদেরই একজন।

হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বাগানের আর পাঁচজন সমর্থকের মতো আপনিও এখন থেকে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের মালিকদেরই একজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আপনি যদি মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থক হয়ে থাকেন, তাহলে জেনে নিন এবার থেকে আপনিও এই ক্লাবের মালিক। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বাগানের আর পাঁচজন সমর্থকের মতো আপনিও এখন থেকে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের মালিকদেরই একজন। বৃহস্পতিবার ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এমনই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisment

আজকের আগে পর্যন্ত টুটু বসু-অঞ্জন মিত্রদের ক্লাব চলেছিল ব্যক্তিগত মালিকানায়। এরপর থেকে ক্লাবের পথচলা শুরু হবে মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড নামে। ১৮৮৯ সালে চালু হওয়া ক্লাবের কোন সোসাইটি রেজিস্ট্রি অ্যাক্টেই নথিভুক্ত ছিল না। চারজন অংশীদার ছিলেন টুটু বসু, অঞ্জন মিত্র, দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু। প্রত্যেকের ২৫ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। আইনত ভাবে ক্লাবের কোনও ক্ষমতাই ছিল না সম্পতি ধরে রাখার। ব্যক্তি মালিকানায় চলা ক্লাব তা করতে পারে না। এবার সোসাইটি রেজিষ্ট্রি অ্যাক্টের (ওয়েস্ট বেঙ্গল সোসাইটি অ্যাক্ট) নথিভুক্ত হল মোহনবাগান।ক্লাবের নাম, রঙ, ও লোগো ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি অ্যাক্টের মধ্যে এল।

বাগান সচিব টুটবাবু বললেন, "নির্বাচনের সময় আমাদের ম্যানিফেস্টোতেই সোসাইটি রেজিস্টার একট, আইপিএ ও ট্রেডমার্কের মতো বিষয়গুলো ছিলই। আজ তার বাস্তবায়ন হলো। এ এক ঐতিহাসিক দিন।" ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, " ১২৯ বছর পর আমাদের ক্লাবের আইনি মালিকানা হলো। এতদিন ক্লাব টুটু বাবুদের কুক্ষিগত হয়েছিল এই কারণেই। এমনকি স্পন্সরদের কাছে মোহনবাগানকে মোহনবাগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মতো কাগজপত্র ছিল না। এবার থেকে আমাদের আর কোনও বাঁধা রইল না।" এদিনের ঐতিহাসিক ঘোষণার সঙ্গেই মোহনবাগান জানিয়ে দিয়েছে দ্রুতই ক্লাবে নয়া স্পনসর আসছে। তবে এই বিষয় কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না তারা। সকলের পরিচিত কোনও ব্র্যান্ডই বাগানের হাত ধরবে বলে ইঙ্গিত।

Mohunbagan