বার্সেলোনার সঙ্গে মোহনবাগানের তুলনাটা একেবারেই চলে না। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল ক্লাবের লেজেন্ডদের সঙ্গেই যে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কিংবদন্তিরা খেলতে নামছেন। ফলে কিছু বিষয় মিল থাকাটা বোধহয় কাম্য ছিল। হাতে আর কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই সুব্রত ভট্টাচার্যর দলের বিরুদ্ধে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মাঠে নামবে অ্যালবার্ট ফেরেরার স্কোয়াড। ভারতীয় ফুটবলে লেখা হবে নয়া ইতিহাস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করার পরেই এডমিলসন, সাবিওলা ও বেলেত্তিরা গা ঘামাতে সন্ধেবেলা মাঠে নেমেছিলেন। অ্যালবার্ট ফেরেরার কোচিংয়েই মোহনবাগান তাঁবুতে ফ্লাডলাইটে প্র্যাকটিস সারলেন তাঁরা। আর ঠিক সেই সময় বাগান তাঁবুতে বৈঠকে বসেছিল মোহনবাগান লেজেন্ড টিম। প্রায় রাত ন’টা পর্যন্ত চলল বৈঠক। মূলত তিনটি ইস্যু উঠে এসেছিল আলোচনায়। এক) বাগান লেজেন্ডের জন্য কোনও কিটসের ব্যবস্থা নেই। ফুটবলাররা নিজেদের মনের মতো জার্সি চাপিয়ে প্র্যাকটিস করেছেন শেষ কয়েকদিন। নেই নির্দিষ্ঠ কোনও পোশাক। দুই) খেলোয়াড়দের জন্য় ভিআইপি টিকিট বরাদ্দ করার দাবি। তিন) প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে,খেলোয়াড় পিছু ম্যাচ -ফি পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: বার্সা লেজেন্ডদের কলকাতা অভিষেকে সাংবাদিক হেনস্থা
আয়োজক সংস্থা ও বাগান সচিব অঞ্জন মিত্রর সঙ্গে আলোচনার পর সমাধান সূত্রে বেরিয়ে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে, আগামিকাল বাগান লেজেন্ডরা একইরকমের জার্সি পরে বার্সার বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন। আয়োজকের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ম্যাচের সব ভিআইপি টিকিট রয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু বাগান লেজেন্ডরাও সেই টিকিট একটি করে পাবে বলেই তাঁদেরকে আস্বস্ত করা হয়েছে। কারণ টিকিটের আকুতি ছিল সব বাগান লেডেন্ডেরই। এমনকি টিকিট না-পেয়ে তাঁরা ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন। কথা হয়েছিল যে, এই ম্যাচ খেলার জন্য মোহনবাগানের ফুটবলাররা পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। কিন্তু বাস্তবে টাকা দেওয়ার লোক নেই বলেই বাগান লেডেন্ডরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, তাঁদের টাকার কোনও প্রয়োজন নেই। মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে তাঁরা বার্সার বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন এটাই বড় সম্মানের।