Advertisment

ফেডারেশনকে চিঠি বাগানের, লাল-হলুদের জন্য বোনাস

গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা লিগের ডার্বিতে ড্র হয়েছিল। কিন্তু বছরের শেষটা হলো সেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে। অসম্ভব শান্ত আর পরিণত কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ভেতরের ঝড় উঠলেও বাইরে বুঝতে দেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবতী ও ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া ম্যানেজার গৌতম রায় (ছবি বাঁ-দিক থেকে)

গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা লিগের ডার্বিতে ড্র হয়েছিল। কিন্তু বছরের শেষটা হলো সেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে। অসম্ভব শান্ত আর পরিণত কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ভেতরের ঝড় উঠলেও বাইরে বুঝতে দেন না। রবিবারের ডার্বিতে একাধিক মুহূর্ত ছিল যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বলার ছিল বাগান কোচের। উনি বললেনও ।

Advertisment

ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোলটা অনেকেই বলছেন ক্লিয়ার অফসাইড। শঙ্করলাল জানালেন, "আমি রি-প্লে দেখিনি। বাড়ি গিয়ে দেখে বলতে পারব। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বললে সাসপেন্ড হয়ে যাব।" অন্যদিকে বোরহা গোমেজেরটা কি হ্যান্ডবল ছিল? এই প্রশ্নেও বাগান কোচের উত্তর আগের উত্তরের মতোই। বলছেন তাঁরও মনে হয়েছিল ওটা হ্যান্ডবল। এসবের মাঝেই শঙ্করলাল বলে বসলেন, "কোলাডো কিন্তু প্লে-অ্যাকটিং করেছে। ওকে রেফারি অনেক আগেই সতর্ক করতে পারত।" দলের রক্ষণ নিয়ে শঙ্করলালে জানাচ্ছেন, "দেখুন, আমরা তিন গোল খেয়েছি। ফলে অবশ্যই রক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে।" তবে বাগানের লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ তা তিনি মানতে নারাজ, জানালেন একটা জয় প্রয়োজন তাঁদের। লিগের উত্তর সময় দেবে। তবে এদিন ১০ জনে মিলে যে লড়াইটা তাঁর দল করেছে, তার জন্য গর্বিত শঙ্করলাল। কিন্তু প্রত্যাশা মতো খেলতে না-পারার আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। এদিন বাগান কোচের কথায় রেফারিংয় নিয়ে যে চাপা অসন্তোষ ফুটে উঠেছিল তা বাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্তের মুখ থেকে লাভা নির্গমনের রূপ নিল। তিনি জানিয়েছেন, ফেডারেশনকে তাঁরা রেফারির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য এই সব রেফারিদের ব্যান না-করতে পারলে তা ভারতীয় ফুটবলের কালো দিন ঘনিয়ে আসবে। আর এই ম্যাচ তাঁরা রেফারির জন্যই হেরেছেন বলেও সাফ জানান।

আরও পড়ুন: রালতের রংমশালে ডার্বির রং লাল-হলুদ

publive-image মারিও, আলেসান্দ্রো, রালতে ও ব্রেন্ডন (ছবি বাঁ-দিক থেকে)

অন্যদিকে কলকাতা লিগের ডার্বিতে গোল করার পর,  রালতে এদিনও করলেন জোড়া গোল। হলেন ম্যাচের সেরা। বলছেন, "দল জিতেছে, ভাল খেলেছে। আমিও গোল করে খুশি হয়েছি। বলতে পারেন আমি লাকি। নিজের একশ শতাংশ দিয়েছি। এভাবেই এগিয়ে যাব।" এই ম্যাচকে জীবনের সেরা ম্যাচ বাছতে নারাজ তিনি। হেসে বললেন তাঁর খেলা সব ম্যাচই ভাল। লাল-হলুদ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া এদিন ভূয়সী প্রশংসা করলেন জবি জাস্টিনের। বলছেন, "ও খুব ভাল খেলছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখে।" লাল-হলুদ কোচ যদিও রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আরও বলেছেন যে, আই-লিগে তারা আরও উন্নতি করতে চান। কোলাডোর খেলায় তিনি খুশি হয়েছেন বলেই মন্তব্য করেন। ইস্টবেঙ্গল কোচ আরও জানান যে, এই জয়ে তাদের খেতাবি জয়ের দৌড়ে রাখবেন বলেও জানান। লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে। কুয়েস কর্তা অজিত আইজ্যাক বলছেন যে, তাঁর খেলোয়াড়দের সঙ্গে এভাবেই চুক্তি করেছেন যে, তাঁরা ডার্বি জিতলে ইন্টারনাল বোনাস পাবেন।

Eastbengal Mohunbagan
Advertisment