করোনা প্রতিরোধে এবার রাস্তায় নেমে বেনজির কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২০০রও বেশি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তিনি। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গেই লক ডাউন জারি করা হয়েছে। এতে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তাদের সাহায্য করার বার্তা দিয়েই বাংলাদেশের জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন খাবার ও পোশাক বিলি করেন।
এই সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "প্রত্যেকে ভালো থাকুন। আশাকরি এই মহামারীর প্রকোপ শীঘ্রই থেমে যাবে।"
পাশাপাশি এই ক্রিকেটার নিজের ফেসবুক পোস্টে দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণীর কথা লিখেছেন যাঁরা এই সংক্রমণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তার পোস্টে তিনি লিখেছেন, "পুরো দেশ আজ করোনা ভাইরাস বা Covid-19 এ স্তব্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েক যুগে প্রিয় মাতৃভূমির এমন পরিস্থিতি আর কেউ কখনো দেখেনি৷ ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ৬ কোটির মত মানুষ রয়েছে যারা অসহায়, গরীব দুঃস্থ। দিনে ১ বেলা খাবার জোটাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারাই আজ সব চাইতে বেশি বিপদে। নেই কোনো আয়, রোজগার, তাই পেটেও নেই খাবার। এই মূহুর্তে তাদের পাশে দাড়ানো মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।"
নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, "তার ই অংশ হিসেবে আজ ময়মনসিংহের অসহায় দুঃস্থ ও গরীব লোকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যমান মনে হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পাশে দাড়াই।"
মোসাদ্দেক সহ বাংলাদেশের জাতীয় দলের ২৭ জন ক্রিকেটার নিজেদের বেতনের অর্ধেক দান করে দিয়েছেন করোনা ত্রাণ তহবিলে। বাংলাদেশের মিডিয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী এতে ২৬ লক্ষের কাছাকাছি টাকা সংগৃহীত হয়েছে।
এর আগে বিসিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চুক্তিবদ্ধ মহিলা ক্রিকেটার ও চুক্তির বাইরে থাকা পুরুষ ক্রিকেটারদের এককালীন ২০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে যথাক্রমে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।