বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থান, চূড়া এভারেস্ট! সেখানেই পা রাখতেই সময় নিলেন মাত্র ২৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট। চলতি সপ্তাহেই এভারেস্টে দ্রুততম আরোহণের নজির গড়লেন হংকংয়ের পর্বতারোহী সাং ইন হুং। এই আগে এত অল্প সময়ে কোনও মহিলা পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পারেননি।
হংকংয়ের সঙ্গেই এভারেস্টে আরোহণে নতুন নজির গড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইউএস-এর আর্থার মুইর ৭৫ বছর বয়সে উচ্চতম স্থানে ওঠার কৃতিত্ব স্থাপন করলেন। সবথেকে বেশি বয়সে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার এটাই সেরা নজির। সরকারিভাবে শুক্রবারই এই তথ্য জানানো হল।
আরো পড়ুন: KKR-এ দেখা গেলেও পাক জাতীয় দলে কোচ হননি কোনোদিন! অবশেষে কারণ জানালেন আক্রম
সাধারণত, এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার আগে পর্বতারোহীরা বেশ কিছুদিন বেসক্যাম্পে বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। তারপরেই চূড়ায় ওঠেন। তবে হংকংয়ের সাং ইন হুং কার্যত কোনো বিশ্রাম না নিয়েই সর্বোচ্চ শৃঙ্গে চড়লেন প্রায় একদিনের মধ্যেই। ২৬ ঘন্টারও কম সময়ে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১.২০ টার (০৭৩৫ GMT) সময়ে বেসক্যাম্প থেকে শনিবার রওনা দেন স্যাং ইন হুং। তার পরের দিনই এভারেস্টের চূড়ায় (৮৮৪৮.৮৬ মিটার) ওঠেন দুপুর ৩.১০-এ। বেস ক্যাম্প থেকে ফিরে এসে এমনটাই জানিয়েছেন নেপালের সরকারি আধিকারিক জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠা।
এর আগে মহিলা হিসাবে এভারেস্টের চূড়ায় দ্রুততম ওঠার নজির ছিল নেপালের ঝাংমু লামার। ২০১৭ সালে ৩৯ ঘন্টা ৬ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল ৪ বছরের মধ্যেই।
এদিকে আর্থার মুরের কৃতিত্বেও উচ্ছ্বসিত মার্কিনী মহল। ম্যাডিসন মাউন্টেনিয়ারিং কোম্পানির পর্বতারোহণের নেতা গ্যারেট ম্যাডিসন বেসক্যাম্প থেকে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, "৭৫ বছর বয়সে সবথেকে প্রবীণ নাগরিক হিসাবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন আর্থার মুইর।" এর আগে ২০০৯ সালে সবথেকে প্রবীণ মার্কিন নাগরিক হিসেবে এই কৃতিত্ব দখলে ছিল বিল বার্কের। যিনি ৬৭ বছর বয়সে এই রেকর্ড গড়েন। এই সপ্তাহে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেললেন আর্থার মুইর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন