/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/1590908256387_2-LEAD.jpg)
অধিনায়ক হিসেবে ধোনিকে দেখেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। শনিবার অগ্রজকে এভাবেই শ্রদ্ধার চাদরে মুড়ে দিলেন স্বয়ং বিরাট কোহলি। ৬-৭ বছর ধোনির নেতৃত্ব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারপরেই জাতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। এমনটাই জানালেন ক্যাপ্টেন বিরাট।
শনিবারই দলের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাট করছিলেন তিনি। সেখানেই কোহলি জানান, কীভাবে ধীরে ধীরে জাতীয় দলের নেতৃত্বের রাশ হাতে নিলেন। ধোনি থেকে কোহলি- নেতৃত্বের ব্যাটন কীভাবে তাঁর কাছে এলো, সেই প্রসঙ্গে বিরাট জানিয়েছেন, "আমি যে ধীরে ধীরে নেতৃত্বের গুণ অর্জন করেছি তার একটা কারণ হল ধোনি দীর্ঘদিন আমাকে পর্যবেক্ষণ করে রেখেছিল। এটা এমন বিষয় নয় যে কোনো ক্রিকেটারকে নির্বাচকরা হঠাৎ বলে দেবেন 'তুমি অধিনায়ক' হয়ে যাও। "
ধোনি টু কোহলি- এই রূপান্তর পর্ব নিয়ে আরো কোহলি বলেছেন, "দলের যে নেতা সে পরবর্তী নেতা ঠিক করার দায়িত্ব নেয়। টিম ম্যানেজমেন্টকে সে সম্ভাব্য ক্রিকেটারের কথা জানিয়ে বলেন, ওর উপর আমি লক্ষ্য রাখবো। ও কেমন করছে সেই বিষয়ে আমি জানাবো। এর পরেই সেই রূপান্তর পর্ব সম্পন্ন হয়।"
View this post on InstagramWow what a finale on #reminiscewithash . Must watch guys
A post shared by Stay Indoors India ???????? (@rashwin99) on
তার নেতা হিসাবে গড়ে ওঠার পিছনে ধোনির যে প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে, সেকথা স্বীকার করে নিয়ে কোহলি স্বী ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে বলেছেন, "আমাকে গড়ে তোলার পিছনে ধোনির অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই বিশ্বাসতা অবশ্য আমাকে অর্জন করতে হয়েছে। রাতারাতি এমনটা হয়না।"
মাঠে ধোনি কীভাবে তার উপরে নজর রাখত তাও জানা গিয়েছে। কোহলি প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করার সময়ে ধোনির নেতৃত্ব প্রতিটি মুভ দেখতেন। "এভাবেই ধীরে ধীরে পালাবদলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ম্যাচ একবার চালু হয়ে গেলে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতে হয়।" বলেছেন তারকা ক্রিকেটার।
এরপরে তাঁর আরো সংযোজন, "ধোনি সবসময় আমাকে বোঝাতো- এটা করতে পারতে, ওটা এভাবেও করা যেত। ক্রমাগত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ও। আমার পরিকল্পনা বেশিবারই নাকচ করে দিত ও। তবে সবকিছু নিয়েই ও আলোচনা করত।"