মানকাড আউট করতে চেয়েছিলেন শ্রীসন্থ। তাতে সায় ছিল না ধোনির। মাঠেই মেজাজি পেসারকে ঠান্ডা ভাষায় শাসন করেছিলেন মাহি। এমনই এক পুরোনো দিনের কাহিনী শেয়ার করলেন স্বয়ং রবিন উথাপ্পা। সম্প্রতি 'ওয়েক আপ উইথ সৌরভ' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল এসে কর্ণাটকী ব্যাটসম্যান জানালেন ধোনি কীভাবে শ্রীসন্থের আগ্রাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।
Advertisment
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমনই এক ম্যাচে মানকাড আউট করে প্রতিপক্ষকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলেন শান্তকুমারন শ্রীসন্থ। তবে ধোনি পত্রপাঠ তা নাকচ করে দেন। "ওয়ার্ল্ড কাপের পরের ঘটনা। আমরা হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। সেই সময় মনে হয় নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে একটু এগিয়ে গিয়েছিল এন্ড্রু সাইমন্ডস। শ্রীসন্থ সেই সময় আচমকা বোলিং রান আপ বন্ধ করে বেল ফেলে দিয়ে আউটের আবেদন করতে থাকে। সঙ্গেসঙ্গেই এমএস দৌড়ে এসে সরাসরি ওঁকে ঠেলে বোলিং করতে পাঠিয়ে দেয়। ধোনি ওঁকে স্রেফ বলেছিল, আবার বোলিং শুরু কর, ভাই! ওঁকে যদি কেউ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, সে হল একমাত্র ধোনি!" জানান উথাপ্পা।
সেই এপিসোডের শেষের দিকেই উথাপ্পা জানান, জাতীয় দলে খেলার সময় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি, গৌতম গম্ভীর এবং স্বয়ং শ্রীসন্থ অস্ট্রেলীয়দের স্লেজিং করার দায়িত্ব নিতেন। কারণ বাকিরা 'ভদ্রলোক' হতে চাইতেন।
স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর বহুদিন পরে ক্রিকেট সার্কিটে ফিরেছেন শ্রীসন্থ। কেরলের জার্সিতে সৈয়দ মুস্তাক আলি, বিজয় হাজারে ট্রফিতেও খেলেছেন আক্রমণাত্মক এই পেসার। তবে আইপিএলের নিলামে দল পাননি।
তবে শ্রীসন্থের আউটসুইংগার এখনো দেশের অন্যতম সেরা মনে করেন উথাপ্পা। তিনি চ্যাট শো-য়ে বলছিলেন, "কপিল দেব, মহম্মদ শামির মতই ওঁর আউটসুইংগার এবং রিলিজ দেশের অন্যতম সেরা, এখনো। ও এখন হয়ত ১২৫ প্লাস স্পিডে বোলিং করছে। তবে যদি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে তাহলে শীঘ্রই ওঁকে ১৩০ প্লাস গতিতে পাওয়া যাবে। তখন কিন্তু ও আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।" ৩৮ বছরের শ্রীসন্থকে নিয়ে এখনো আশাবাদী উথাপ্পা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন