আম্রপালি গ্রুপের বিরুদ্ধে ধোনির দায়ের করা আর্বিট্রাল প্রসিডিওর বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। আম্রপালি রিয়েল এস্টেট গ্রুপের একসময় ব্র্যান্ড আম্বাসাডর ছিলেন ধোনি। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই ধোনি-আম্রপালি ইস্যুতে ফরেন্সিক অডিটর নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই অডিটরদের সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, ধোনিকে প্রমোট করে যে সংস্থা সেই রীতি স্পোর্টসের সঙ্গে অনৈতিক চুক্তি করে রিয়েল এস্টেট সংস্থা আম্রপালি গ্রুপ। যেখানে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের অর্থ সরিয়ে ফেলা হচ্ছিল রীতি স্পোর্টসের একাউন্টে।
আইনি বিপাকে পড়ে ধোনি ২০১৯-এ দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপরই আদালতের তরফে আরবিট্রেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয় বীণা বীরবলকে।
জাস্টিস ললিত এবং বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানিয়ে দেয়, ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে কোর্টের তরফে একজন রিসিভার নিয়োগ করা হল যিনি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ফ্ল্যাট নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে ক্রেতাদের আইনি অধিকার দেওয়া হচ্ছে কিনা তা নজর রাখবেন।
এরপরেই অর্বিট্রেশন যেন ধোনি চালিয়ে না যান, তা অনুরোধ করা হয় সুপ্রিমকোর্টের তরফে। ২০১৯-এর এপ্রিলে ৫০০০ স্কোয়ার ফুটের আম্রপালির প্রজেক্টের একটি পেন্টহাউসের মালিকানা স্বত্ত্ব সুরক্ষিত রাখার জন্য ধোনি আদালতের শরণাপন্ন হন।
গোটা কেসের সঙ্গে জড়িত থাকা আইনজীবী এম এল লাহটি জানিয়েছেন, রিয়েল এস্টেট ফার্মের তরফে ধোনিকে ব্র্যান্ড আম্বাসাডর করার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করা হয়েছিল। ধোনির কাছ থেকে সেই অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়াও এপেক্স কোর্টে চালু হয়ে গিয়েছে।