শুধু এই প্রজন্মেরই নন। মহেন্দ্র সিং ধোনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক। এমনটাই জানিয়ে দিচ্ছেন কেভিন পিটারসেন। সাফ বলছেন, ধোনির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন হবে না!
ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১০৪ টেস্ট খেলা কেভিন পিটারসেন জানাচ্ছেন, "ধোনির কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা বিপুল। এই চাপ সামলে দেশের অধিনায়কত্ব সামলানোর সঙ্গে সিএসকের জার্সিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই চাপের মুখে পারফর্ম করা ভীষণ কঠিন।"
অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলকে বেনজির সাফল্যের স্বাদ দিয়েছেন তিনি। টি ২০ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন তিনি।
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়। ধোনি সিএসকেকে আইপিএলে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন। ২০১০, ২০১১ এবং ২০১৮ সালে হলুদ জার্সিতে ট্রফি জিতেছেন মহাতারকা।
এর আগে মাইকেল হাসি আবার ধোনিকে সর্বশ্রেষ্ট ফিনিশারের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, "বিশ্বে সর্বকালের সেরা ফিনিশার ধোনি। ধোনি ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনকে চাপে ফেলতে পারে। ধোনির অবিশ্বাস্য শক্তি রয়েছে। কখন বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠাতে হবে সেটা ধোনি ভালো জানে। এতটাই ওর নিজের উপর বিশ্বাস রয়েছে। সত্যি কথা বলতে নিজের উপর আমারও এতটা বিশ্বাস নেই।"
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।