Advertisment

ভাঙা হাঁটুতেই ধোনির বিশ্বকাপে শামি, চ্যাটে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিশ্বকাপে চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিলেন বাংলার হয়ে খেলা তারকা পেসার। অনুশীলনে ব্যান্ডেজ বেঁধে বোলিং করতেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মহম্মদ শামি খেলতেই পারতেন না। তবে ধোনি শামিকে ছাড়া বিশ্বকাপে খেলতে রাজি ছিলেন না। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে পেনকিলার খেয়েই মাঠে নেমেছিলেন। এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি স্বয়ং শামির। ইরফান পাঠানের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে শামি সেই কাহিনী তুলে ধরেছেন সমর্থকদের সামনে।

Advertisment

মহম্মদ শামি বলছিলেন, "সেমিফাইনালের আগে দলের সতীর্থদের বলে দিয়েছিলাম কোনোভাবেই মাঠে নামতে পারবো না। ম্যাচের দিনেও যন্ত্রণা হচ্ছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনাও সেরেছিলাম।"

এরপরেই শামি জানিয়েছেন, "টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে আশ্বস্ত করেছিল আমার কোনো সমস্যা হবে না। মাহি ভাই আর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে অনেক ভরসা জুগিয়েছিল। ওরা বলেছিল সেমিফাইনালের মতো টুর্নামেন্টে তোমাকে ছাড়া কোনোভাবেই নামতে পারব না।"

সেই চোট নিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা শামির কেরিয়ারে অবশ্য বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারতো। কারণ সেই ম্যাচের পরেই তারকা পেসারের পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। ২০১৫র ২৬ মার্চে সেই ম্যাচ খেলার পরে শামি পরের আন্তৰ্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ১৪মাস পরে, ২০১৬ র জুলাইয়ে টেস্ট খেলেছিল শামি।

বিশ্বকাপে চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিলেন বাংলার হয়ে খেলা তারকা পেসার। অনুশীলনে ব্যান্ডেজ বেঁধে বোলিং করতেন। প্রতি ট্রেনিংয়ের পরে হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করা হতো।

শামি সেই কথা জানাতে গিয়ে বলেন, "প্রথম ম্যাচে খেলার সময়ই হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল। এতটাই ফুলে যায় যে হাঁটু আর উরুর সাইজ একই হয়ে গিয়েছিল সেও সময়। প্রতিদিন তিনটে পেনকিলার নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকরা ফ্লুইড বের করতেন।"

সেই চোট নিয়ে ধোনিই শামিকে মাঠে নামার সাহস যোগান। অতীতের সেই কাহিনী জানিয়ে বদরপুর এক্সপ্রেস বলেন, "ইঞ্জেকশন নেওয়া সত্ত্বেও পায়ের অবস্থা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি মাহি ভাইকে বলেছিলাম, আমি বল করতে পারব না কারণ আমি দৌড়োতেই পারছিলাম না। তবে ধোনি আমার উপর আস্থা রাখার কথা জানায়।"

সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা শামি জানান, "প্রথম ৫ ওভারে ১৩ রান খরচ করে একটা উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। ফিঞ্চ আর ওয়ার্নারকে বিট করলেও ব্যাটের কানায় লাগেনি।"

সেই সেমিফাইনাল স্বরণীয় হয়ে আছে স্টিভ স্মিথের দুরন্ত শতরান আর ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্য।

"ধোনি আমাকে বলেছিল কোনোভাবেই আমি যেন কোটায় ৬০ রানের বেশি খরচ না করি। এর থেকে খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনো বোলিং করিনি। অনেকে বলেছিল আমার কেরিয়ারই শেষ। অনেকে বলেন আমার খেলাই নাকি উচিত হয়নি। তবে এখন তো সবার সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছি।"

MS DHONI Mohammed Shami ICC Cricket World Cup
Advertisment