মুকুটে তিনটে আইপিএল ট্রফি। সিএসকেকে অবিশ্বাস্য সাফল্যের স্বাদ দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএলের ১৩তম জন্মদিনে ধোনিকেও সর্বকালের সেরা নেতা বাছা হল। মুম্বইয়ের ক্যাবিনেটে চারটে আইপিএল খেতাব থাকলেও রোহিত শর্মা নয়, সেরা ক্যাপ্টেনের স্বীকৃতি জুটল মাহির।
আইপিএলের ১৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ৫০ সদস্যের একটি জুড়ি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। সেখানে ২০জন প্রাক্তন ক্রিকেটার, ১০ জন সাংবাদিক, ১০ জন পরিসংখ্যানবিদ, তিনজন সঞ্চালক এবং সম্প্রচারকারী সংস্থার পক্ষে ৭ জন ছিলেন। তাঁদের বাছাই তালিকা থেকেই চূড়ান্তভাবে ধোনিকে সেরা নির্বাচন করেন পাঠান, গম্ভীর, পিটারসেন, নেহেরা এবং মরিসনরা।
সিএসকের জার্সিতে ক্যাপ্টেন হিসাবে জয়ের শতকরা হার ৬০.১১। ধোনি, রোহিত ছাড়াও সেরা নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কেকেআরকে জোড়া আইপিএল খেতাব দেওয়া গৌতম গম্ভীর, শেন ওয়ার্ন, ডেভিড ওয়ার্নাররা।
নেতা হিসাবে ধোনির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কার্যত কোনো সন্দেহই ছিল না নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আশিস নেহেরা, সঞ্জয় মঞ্জরেকর, ডারেন গঙ্গা, স্কট স্টাইরিস, সাইমন ডুল, মাইক হেসন, গ্রেম স্মিথ, রাসেল আর্নল্ড, ডিন জোন্সদের। প্রত্যেকেই ধোনিকে সেরা অধিনায়ক বাছেন।
ধোনিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে নেহেরা জানিয়েছেন, "সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসাবে আমার পছন্দের তালিকায় একনম্বরে ছিল ধোনি। আইপিএল হোক বা জাতীয় দল-ওর নেতৃত্বেই সবথেকে বেশিবার খেলেছি। রোহিতের অধীনে খেলিনি। তাই ধোনিকেই বাছলাম।"
শুধু নেতা হিসাবেই নয়, ধোনি ব্যাট হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন সিএসকের জার্সিতে। ম্যাচ প্রতি ৪২ গড় নিয়ে ধোনি ৪০০০এরও বেশি রান করেছেন। গত মরশুমেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের নিলামে সবথেকে বেশি দাম পেয়েছিলেন ধোনি। সেখান থেকে তিনি আপাতত আইকন হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটবিশ্বে।
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।