কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ধোনিকে বাদ দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। এর মধ্যেই ধোনির অবসর নিয়ে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট। বোর্ডের কাছে ব্রাত্য হয়ে ধোনি সরাসরি অবসর নিয়ে ফেলবেন কিনা, তা নিয়ে সর্বত্র বিস্তর আলোচনা। টুইটারেও ট্রেন্ডিং আপাতত ধোনির অঘোষিত অবসর ঘিরে।
তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধোনির কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের সঙ্গে অবসরের কোনও সম্পর্ক নেই। ছয় মাস জাতীয় দলে না থাকার কারণেই ধোনি বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। বোর্ডের সংবিধান মেনেই এমন সিদ্ধান্ত।
বোর্ডের এক কর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "ধোনির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার অর্থ এমন নয় যে কোনওদিনই আর ও জাতীয় দলে খেলার ডাক পাবে না।"
সেই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ধোনি আইপিএল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেরিয়ার নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। পাশাপাশি আইপিএলে পারফর্ম করে টি২০ বিশ্বকাপে খেলতে মরিয়া থাকছেন ধোনি। এমন ইঙ্গিত জানিয়ে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী আগেই। নির্বাচকরাও ধোনির আইপিএল ফর্ম দেখে চূড়ান্ত নেবেন বিশ্বকাপের জন্য।
বিসিসিআইয়ের আধিকারিক সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, "এটা পুরোপুরি নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। যদি ধোনি সিএসকেকে একার হাতে চ্যাম্পিয়ন করতে পারে, তাহলে কে বলতে পারে, কী হবে! এখনই সমর্থকদের কোনও সিদ্ধান্ত আসা অনুচিত হবে। কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের অর্থ কোনওভাবেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নয়।"
সেই কর্তা শুবমান গিল ও পার্থিব প্যাটেলের দৃষ্টান্ত এনে বলেছেন, শুবমান গিল ও পার্থিব প্যাটেলকেও কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আনা হয়নি। তবে আসন্ন মরশুমে জাতীয় দলের পরিকল্পনায় ভালভাবেই রয়েছে ওরা।
সেই সঙ্গে ভাজ্জির নামও উঠে আসছে। তিনি বলছেন, "হরভজন ২০১৬ সালের পরে জাতীয় দলে আর খেলেনি। আবার অবসরও ঘোষণা করেনি। হয়তো ধোনিকে নিয়ে সবাই বড়বড় শিরোনাম পছন্দ করে।"