তরুণ ক্রিকেটারদের ধোনি সবসময় সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তবে পুরোপুরি সমাধান বাতলে দেওয়ার বদলে নিজেদের সমস্যা মেটাতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন ধোনি। এমনই জানাচ্ছেন ঋষভ পন্থ।
দিল্লি ক্যাপিটালসের লাইভ চ্যাট সেশনে ধোনিকে নিয়ে এমনই তথ্য জানালেন তাঁর উত্তরসূরি। পন্থ জানাচ্ছেন, "ধোনি আমার কাছে মাঠ ও মাঠের বাইরে মেন্টর। যেকোনো সমস্যা হলে যেকোনো সময় ধোনির সঙ্গে পরামর্শ নিতে পারি। তবে ধোনি কখনই পুরোপুরি সমাধান বাতলে দেয় না।"
কেন এমন করেন কিংবদন্তি উইকেটকিপার, তাও জানিয়েছেন পন্থ। "এটা করার কারণ হলো, যাতে ধোনির উপরে আমি পুরোপুরি নির্ভরশীল না হয়ে পড়ি। ও আমাকে সমাধানের পথ জানায়। আমি নিজেই সমস্যার সমাধান করি। ও আমার ফেভারিট ব্যাটিং পার্টনার। যদিও ওকে ব্যাটিং করার সময় খুব কম ই পাই।" বলেছেন তিনি।
কেন ধোনির সঙ্গে ব্যাটিং করা সহজ তার কারণ জানিয়েছেন ঋষভ পন্থ, "মাহি ভাই যদি ক্রিজে থাকে, তাহলে সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে গেল। ওর মাথার মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি থাকে। অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানকে কেবল ওঁকে ফলো করতে হয়।"
২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ধোনি। তারপর টেস্টে ঋদ্ধিমান নিয়মিত কিপিং করছেন। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখনও কেউ পাকাপাকিভাবে ধোনির জায়গা নিতে পারেনি। ঋষভ পন্থ নিয়মিত খেললেও সম্প্রতি লোকেশ রাহুলকেও ব্যাটসম্যান উইকেটকিপারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।
অন্যদিকে, আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতি পরে গিয়েছে। এমনটা বলে দিয়েছেন খোদ হরভজন সিং।