ডিআরএস, ক্রিকেটে যার অর্থ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। অর্থাৎ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হওয়া। বাইশ গজের ইতিহাস সাক্ষী আছে যে, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনি কত’টা বিচক্ষণ। রবিবার দুবাইতে ভারত-পাক ম্যাচে ফের প্রমাণিত হল যে, ডিআরএস নেওয়ার কিং মাহি। আরও একবার নির্ভুল তিনি।
এদিন পাকিস্তানের ইনিংসের অষ্টম ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের বল ইমাম-উল-হকের অফ দ্য স্টাম্প হিট করেছিল। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার আউটের আবেদন নাকচ করে দেন। তখনই উইকেটের পিছন থেকে ধোনি মাথা নাড়িয়ে রোহিত শর্মাকে ইশারা করেন। মাথা নাড়িয়ে তিনি জানিয়ে দেন এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হোক। টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেনও কাল বিলম্ব না-করেই ডিআরএস নেন। তৃতীয় আম্পায়ার সেটি আউট বলেই জানিয়ে দেন। টুইটার ফের একবার ধোনির প্রশংসায় মাতল। ধোনির ফ্যানেরা অনেক আগেই ডিআরএস-এর নাম দিয়েছেন ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম।’ সেকথাই মিলছে বারেবার। এমনকি এই সময় ধারাভাষ্য় দিচ্ছিলেন সুনীল গাভাস্কর। তিনি অন-এয়ার বললেন, “এমএসডি একজন জিনিয়াস। অসাধারণ ওর ক্ষমতা। ওই রোহিতকে ডিআরএসটা নিতে বলল। আর ওর সিদ্ধান্ত একদম ঠিক।”
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ রিভিউয়ার বিরাট’
দেখে নেওয়া যাক টুইটে কী ঝড় উঠল:
এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে পাকিস্তানকে মুখ তুলতে দেয়নি ভারত। রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং আট উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তানকে। রবিবার ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ভারত এবার নয় উইকেটে হারাল পাকিস্তানকে। ইন্দো-পাক মহারণের ইতিহাসে ভারতের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। একেবারে ক্লিনিক্যাল পারফরম্যান্সেই জয় তুলে নিল রোহিতরা।
এদিন টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তান নির্ধারিত ওভারে ২৩৭ রানে গুটিয়ে যায়। শোয়েব মালিক করলেন ৯০ বলে ৭৮। পাক ব্যাটসম্য়ানদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রান। ভারতের হয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল. যসপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদব দু’টি করে উইকেট নিলেন। জবাবে রোহিত শর্মা (অপরাজিত ১১১) ও শিখর ধাওয়ানের (১১৪) জোড়া সেঞ্চুরি ভারতের জয়গাথা লিখে দিল।