ধোনি কি অবসর নিচ্ছেন, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছিল বরাবরের মত। আরো একবার। টুইটারে হঠাৎ করেই ট্রেন্ড করতে থাকে 'ধোনি রিটায়ার্স' শব্দ বন্ধনী। এরপরেই নেটিজেনদের একহাত নেন সাক্ষী ধোনি। সরাসরি জানিয়ে দেন, মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ধোনির অবসর হওয়ার বিষয়টি যে বরাবরের মত ভুয়ো। তা জানিয়ে সাক্ষী টুইটারে লেখেন, "এটা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। বুঝতে পারছি লকডাউনে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।" সাক্ষীর এই টুইটে ব্যাপক আলোচনা শুরু হতে, বিতর্ক এড়াতে পোস্টটি ডিলিট করে ফেলেন তিনি।
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি।
তবে জাতীয় দলের জার্সিতে ৬ মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই কয়েক লাখ কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ৬০ লক্ষ-র বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।
ধোনি নিজে আপাতত ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জানাননি। কবে তিনি মুখ খোলেন, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট মহল।