শনিবারের চিপক দেখল ভিন্টেজ এমএস ধোনিকে। সেই চেনা মেজাজ। ব্য়াটে পুরনো ঝাঁঝ। তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন তাঁর দলের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গিয়েছেন মাত্র পাঁচ ওভারে ২৭ রান যোগ করে। ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্টের ভূমিকায় নেমে মাঠে আগুন জ্বেলেছিলেন। গ্যালারি শুনেছিল 'ধোনি..ধোনি...' শব্দব্রহ্ম। একেবারে হিসেব কষেই ব্যাট করলেন তিনি।
৪৬ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের স্কোর নিয়ে গিয়েছিলেন ১৭৫-এ। সুরেশ রায়নার সঙ্গে ৬১ রানের যুগলবন্দিতে দলের স্কোর ১০০ পার করান। এরপর রায়না ফিরতেই ডোয়েন ব্র্যাভো আর রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে গিয়ার পাল্টে মারকাটারি অবতারে ধরা দেন। ব্র্যাভো বলছেন যে, তিনি ধোনির সঙ্গে খেলতে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পাশাপাশি ধোনির প্রাণশক্তি তাঁকে শক্তি জোগায়।
আরও পড়ুন: রাহানেকে দিতে হবে ১২ লক্ষ টাকার জরিমানা
পরিসংখ্যান বলছে মাহি প্রথম ৩০ বলে ৩৩ ও শেষ ১৬ বলে ৪২ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। এর আগে ধোনি রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১৭টি ইনিংস খেলে কখনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি। কিন্তু ১৮ নম্বর ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন। টুর্নামেন্টে এটাই তাঁর ২১ তম অর্ধ-শতরান ও চতুর্থ সেভেনটি প্লাস স্কোর। টপরে গেলেন লোকেশ রাহুলকেও। চিপকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের পাশাপাশি ধোনির আইপিএলে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে গতবছর মোহালিতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেবছরই বিরাটদের বিরুদ্ধে ৭০ রান করেছিলেন। ২০১১-তেও আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৭০ রান করেন তিনি।