মঙ্গলবার চিপকে এমএস ধোনিকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মণীশ পাণ্ডে। এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ হাতের তালুর মতো চেনেন এমএসডি। এদিনও টস জিতে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
মাহি ভেবেছিলেন নিজের ঘরের মাঠে স্পিনার সহায়ক পিচে ফের একবার বিপক্ষকে কম রানে বেঁধে ফেলতে পারবেন তিনি। হরভজন সিংকে দ্বিতীয় ওভারে এনেই জনি বেয়ারস্টোকে তুলে ধোনি ভেবেছিলেন সবকিছু পরিকল্পনা মাফিকই চলবে এবার। কিন্তু তাঁর মাস্টারপ্ল্যানে জল ঢেলে দেন ওয়ার্নার আর মণীশ। সিএসকে-র বোলারদের তুলোধনা করে ছাড়েন তাঁরা। এই দুইয়ের ব্যাটে ভর করেই হায়দরাবাদ অনায়াসে ১৩ ওভারে ১২০ রান তুলে দিয়েছিল। ধোনি রীতিমত দিশাহীন হয়ে গিয়েছিলেন। এই জুটিকে থামানোর রাস্তাই পাচ্ছিলেন না তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আউট অফ দ্য পার্ক’! আলোচনায় ধোনির ১১১ মিটারের ছয়
ম্যাচের ১৪ নম্বর ওভারটা ধোনি তুলে দেন সেই ভাজ্জিকেই। ভারতের স্টার অফস্পিনারের আউটসাইড দ্য অফস্টাম্প ফ্লাইট মিস করেন ওয়ার্নার। অজি ব্যাটসম্যান কিছু বোঝার আগেই দেখেন যে, উইকেটে আলো জ্বলে গিয়েছে। খানিকক্ষণ ক্রিজে থেকেই ওয়ার্নার হাঁটা লাগান ডাগ-আউটের দিকে।
ওয়ার্নার বুঝেই গিয়েছিলেন, তাঁর আজকের মতো ইনিংস থামল ধোনির হাতেই। ০০.২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই ধোনি স্টাম্প করে দেন ওয়ার্নারকে। ৪৫ বলের ৫৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন ওয়ার্নার। বিদ্যুতের থেকেও দ্রুত স্টাম্পিং করতে পারেন মাহি। এমনটাই বাইশ গজে সুনাম তাঁর। আবারও দেখালেন তিনি। এই বয়সেও সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশ সময়ে স্টাম্পিং করতে পারেন মাহি।
ওয়ার্নার আর পাণ্ডের (৪৯ বলে ৮৩) ব্যাটে ভর করেই হায়দরাবাদ ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল চেন্নাইকে। কিন্তু শেন ওয়াটসনের ব্যাটে ঢাকা পড়ে যায় তাঁদের ইনিংস। ৫৩ বলে ৯৬ রান করে আউট হন ওয়াটো। টি-২০ ক্রিকেটে ৮০০০ রান পূর্ণ করার রাতেই চেন্নাইকে জিতিয়ে ফের টেবিলের ওপরে নিয়ে গেলেন তিনি। চেন্নাই ৬ উইকেটে জেতে সানেদের বিরুদ্ধে