শোয়েব আখতারকে একবার নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন ধোনি। সংগত দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। এমনই অভিজ্ঞতা এবার সকলের সঙ্গে শেয়ার করলেন স্বয়ং ছোটে পাঠান।
আজ থেকে ১৪ বছর আগেই ঘটনা। ফয়সলাবাদ টেস্টে খেলতে নেমেছিলেন ধোনি। কেরিয়ারের সেটাই ছিল তাঁর পঞ্চম টেস্ট। ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তাঁর আগেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন শচীন। স্কোরবোর্ডে ২৮১/৫ তুলে ইন্ডিয়া তখনও পাকিস্তানের থেকে ৩০৭ রানে পিছিয়ে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে পাহারপ্রমাণ ৫৮৮ রান তুলেছিল।
ম্যাচ বাঁচাতে ভারতের একটা বড় রানের পার্টনারশিপ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বল হাতে তখন আগুন ছোটাচ্ছিলেন স্বয়ং শোয়েব আখতার। ধারাবাহিকভাবে ১৫০-১৬০ এর মধ্যে বল করে চলেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ইফরান পাঠান স্পোর্টস টক এ বলেন, "আমি যখন ব্যাট করতে নামি আখতার তখন ১৬০ কিমিতে বল করছে। আমি ধোনিকে জিজ্ঞাসা করলাম, পিচ কেমন? ও খালি জানাল, সেরকম কিছু না। তুই স্রেফ ব্যাট করে যা।"
পাঠান বলছিলেন, "আখতারের প্রথম বলটাই ছিল বাউন্সার। কিছু দেখতেই পেলাম না। কোনরকমে আমরা ওর স্পেল কাটাতে চাইছিলাম। আমরা ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ গড়ে তুলছিলাম। কিছুক্ষন পরে ফের একটা স্পেলে আখতার বল করতে আসে।"
এরপরেই আসল কাণ্ড! পাঠান বলছিলেন, "শোয়েব স্লেজিং করছিল। ধোনিকে জানাই আমিও স্লেজিং করব। তুমি খালি হেসো। ও রাজি হয়। শোয়েব আবার সেই সময়ে রিভার্স সুইংও পাচ্ছিল। সোবারেই প্রথম ওকে স্লেজ করি। বলি, পরের স্পেলে কী এত জোরে বল করতে পারবি? আখতার রেগে গিয়ে বলছিল, তুই খুব বেশি কথা বলিস। তোকে এখান থেকে হঠিয়ে ছাড়ব, দেখ! পাল্টা আমি বলি, তুই সেটা পারবিই না। কারণ আসল পাঠান হলাম আমি। তুই স্রেফ বল করে যা। বেশি কথা বলিস না।"
পাঠানের সংযোজন, "পরের বলটাই ছিল বাউন্সার। এটা অনেকটাই প্রত্যাশিত। আমি বল লিভ করি। এরপরে ক্রমাগত শর্ট বল করতে থাকে ও। ধোনির সঙ্গে গ্লাভস মেলাতে যাওয়ার সময় শোয়েবও ছিল। বললাম, পিচ ভিজে আছে, আরো শর্ট বল করতে হবে। শোয়েব রেগে গিয়েছিল। তবে ওর স্পেল আমরা ভালোভাবে সামলে দিই। এরপর টেস্ট ম্যাচ বাঁচানোটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।"
সেই টেস্টে ধোনি-পাঠান জুটি ষষ্ঠ উইকেটে ২১০ রান যোগ করে। টেস্টে প্রথম শতরান হাঁকিয়ে ধোনি ১৪৮ করে যান। অন্যদিকে পাঠান ৯০ রান করে ধোনিকে যোগ্য সহায়তা করেন। ভারত প্রথম ইনিংসে লিড নেয়। তবে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।