জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে মহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে একটাই উপায় ছিল। তা হলো আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএলের মতোই ধোনির ভাগ্যের আকাশও আপাতত মেঘাচ্ছন্ন। ধোনির প্রত্যাবর্তনে কার্যত কোনো আশাই দেখছেন না কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, আইপিএল না হলে ধোনির ফেরার সম্ভবনা একদমই ক্ষীণ।
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট অনুষ্ঠানে এসে শ্রীকান্ত জানিয়ে দিয়েছেন, "কোনো ভনিতা করছি না। আমি যদি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হতাম, কী করতাম? যদি আইপিএল না হয় তাহলে ধোনির সম্ভবনা একদমই ক্ষীণ। সোজা কথায়, কেএল রাহুল উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হতে পারে। ঋষভ পন্থকে নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে। তবে ও যে ভীষণ প্রতিভাবান, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।"
শ্রীকান্ত আরো জানিয়েছেন, "তাই পন্থকে স্কোয়াডে রাখতাম। তবে আইপিএল যদি না হয় তাহলে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ধোনির সুযোগ পাওয়া কঠিন।"
ধোনির ব্যক্তিগত সাফল্য মেনে নিয়েও শ্রীকান্ত জানাচ্ছেন, "সত্যি কথা বলতে ধোনি একদম সুপার ফিট। একজন কিংবদন্তি। আমি নিজেও ধোনির ফ্যান। তবে প্রশ্ন হলো বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে। সেখানে দলগতভাবে বিচার করতে হবে ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান সরিয়ে।"
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।